আবাসিক এলাকায় পোল্ট্রি খামার গড়ে ওঠায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের পাঘাচং গ্রামে আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিক পোল্ট্রি খামার। শ্যামল মিয়া নামের এক ব্যক্তি নিজ বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এই খামার চালু করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। খামারের দুর্গন্ধে এলাকায় বসবাসই হয়ে উঠেছে কষ্টসাধ্য। গ্রামজুড়ে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করেন, শ্যামল মিয়া ক্ষমতাসীন দলের পরিচয় ও টাকার প্রভাব খাটিয়ে আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে মুরগির খামার চালু করেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিছু বললেই তিনি হুমকি দেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। অনেকেই জানান, খামারের মল ও দুর্গন্ধের কারণে শিশু ও বয়স্করা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন।
এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা তার ভয়ে মুখ খুলতে পারি না। কেউ কিছু বললেই হুমকি-ধমকি দেয়। আপনি কি পরিবেশ অধিদপ্তরে চাকরি করেন—এমন কথাও সাংবাদিকদের বলেছে সে।”
জানা যায়, শ্যামল মিয়া এর আগেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় অবৈধ ড্রেজার ও বালু ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতার পরিচয়ে এসব কাজ তিনি নির্বিঘ্নে চালিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। তার এই প্রভাব-প্রতিপত্তির উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা রাখিবুল হাসান বলেন, “আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কোনো মুরগির খামার চালানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেছেন, “দয়া করে আমাদের বাঁচান। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন, যাতে আমরা স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে পারি।”
What's Your Reaction?






