আলফাডাঙ্গায় মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় আলফাডাঙ্গা পৌর বাজারের তৃতীয় গোল্লিতে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে জনৈক আসমা খাতুন মিথ্যা, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ তুলে গত রোববার (১৩ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, উপজেলার বাকাইল গ্রামের আসমা খাতুন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দাবি করেছিলেন, গত ২৫ মার্চ সকাল ১১টার দিকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আব্দুল মান্নান আব্বাস লোকজন নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে স্বর্ণালংকার লুট ও খুন-জখমের হুমকি দেন। এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে আব্বাস জানান, ওই দিন তিনি ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্বাস লিখিত বক্তব্যে আটটি যুক্তিসমৃদ্ধ তথ্য তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—আসমা খাতুনের নিজস্ব কোনো বসতবাড়ি নেই; বিবাহিত হলেও তিনি তার পিতার বাড়িতেই অবস্থান করেন।
তার স্বামী শ্বশুরবাড়িতে মারা যান, ছোট মেয়ে আত্মহত্যা করে, আর বড় মেয়ের বিয়েও পিতার বাড়িতে সম্পন্ন হয়।
জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি ও প্রতিনিধি এএসআই জাকিরের উপস্থিতিতে একাধিকবার সালিশ হলেও আসমা খাতুন তা মানেননি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিলের পর পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসমা খাতুনের প্রকৃত জমি পাওনা মাত্র ১.৮৫ শতাংশ।
স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ, বিএনএফ এবং বিভ্রান্ত বিএনপি নেতাকর্মী তাকে মিথ্যা অভিযোগে উৎসাহিত করেছেন।
আব্বাস দাবি করেন, আসমা খাতুন তার কোনো আত্মীয় নন, তাদের মধ্যে জমি নিয়ে কোনো বিরোধও নেই, তিনি কেবল নিরপেক্ষ সালিশকারীর ভূমিকায় ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে তিনি বলেন, "আসমা খাতুনের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবছি।”
এ বিষয়ে জানতে আসমা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিষয় আদালতের এখতিয়ারভুক্ত। তবে যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে, সেক্ষেত্রে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।”
What's Your Reaction?






