আলফাডাঙ্গায় জিহ্বা কাটা সেই নাইটগার্ডের মৃত্যু

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় দুর্বৃত্তদের হাতে জখম হওয়া পাড়াগ্রাম বাজারের নাইটগার্ড আব্দুল হালিম মোল্লা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত হালিম মোল্লা (৫৫) উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পাড়াগ্রামের বাসিন্দা মৃত আবু সাঈদ মোল্লার ছেলে। তিনি পাড়াগ্রাম বাজারে দীর্ঘদিন ধরে নাইটগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, ধারের টাকা আদায়ে গত শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে হালিম মোল্লা হেলেঞ্চা গ্রামের আনোয়ার, শান্ত, মিজানুর রহমান, লাল্টু ও মজিবরের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর শনিবার দিবাগত গভীর রাতে একই গ্রামের মাহবুবের গাছের বাগানে দুর্বৃত্তরা তাকে জিহ্বা কেটে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে ওই বাগান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় হালিম মোল্লাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।
নিহতের খালাতো ভাই এনামুল হক রুবেল বলেন, ‘হালিমের স্ত্রী অনেক আগেই মারা গেছেন। নিজের কিছু জমি বিক্রি করে তিনি বিভিন্নজনের কাছে টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন। এর মধ্যে সালাউদ্দিন লাল্টুর কাছে ১৪ লাখ টাকা রেখেছিলেন বলে আমরা জেনেছি। ওই টাকার জের ধরেই সম্ভবত তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে সালাউদ্দিন লাল্টুর দোকানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার বাড়িতেও কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, ‘এটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
What's Your Reaction?






