কুমারখালীতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় শতাধিক তাঁতি পরিবার পানিবন্দী 

পুলক সরকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি
Sep 16, 2024 - 20:10
 0  12
কুমারখালীতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় শতাধিক তাঁতি পরিবার পানিবন্দী 

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নে অতি বর্ষনে শতাধিক তাঁতি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পরেছেন। তাদের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম তাঁত ঘরে  হাঁটু সমান পানি হওয়ায় পণ্য  উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার নন্দলালপুর গ্রামের কারিগর পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি বাড়ি আশপাশ ও রাস্তায় হাঁটু সমান পানি।

ভুক্তভোগীরা জানান, আগে অতি বৃষ্টি বা ভারি বর্ষনে তাদের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতোনা। বর্তমানে বিভিন্ন কালভার্টের মুখ বন্ধ করে মাছ চাষ করায় পানি বের হতে পারেনা যেকারণে তারা পানি বন্দী হয়ে পরেছেন। হাবাসপুরে ফারুক ও ইউপি সদস্য শাহীনের  লোকজন  পানি বের হবার সরকারি পোল বন্ধ করে দেওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা আরো জানান কারিগর পাড়ার প্রতিটি বাড়িতে তাঁত রয়েছে। তাদের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন তাঁতশিল্প। কিন্তু ৩/৪ দিন তাদের প্রতিটি বাড়িতে পানি ঢুকে তাঁতঘরে কাজ করার কোন সুযোগ নেই। পানির কারণে ইতিমধ্যে তারা তাঁতঘর থেকে কাপড় সহ তাঁত অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। এবং রান্নাঘর ও বসত  ঘরেও পানি প্রবেশ করায় খাদ্য সংকটের পাশাপাশি  নির্ঘুম রাত পার করছেন তারা। দ্রুতগতিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানান। 

নন্দলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন জানান,  নন্দলালপুর গ্রামের কারিগর পাড়ার শতাধিক পরিবার অতি বৃষ্টির কারণে পানিবন্দী হয়ে পরেছেন। প্রাথমিকভাবে পানি বের করতে গেলে শত বিঘা জমির ফসল ডুবে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জন দুর্ভোগ নিরসনের পাশাপাশি ফসলি জমি রক্ষায় স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা সরকারি কমিশনার (ভুমি) আমিরুল আরাফাত জানান, একদিকে বসত ঘড় অপর দিতে ফসলী জমি।  সব দিক বিবেচনা করে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা চলছে। দ্রুতই সমাধান হবে বলেও আশ্বাস দেন উপজেলার এই কর্মকর্তা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow