চোরাচালান রোধে ভুটানের ট্রাকে পণ্য পাঠানোর দাবী জানিয়ে ভুটানের রপ্তানীকারক অ্যসোসিয়েশনকে বুড়িমারী অ্যাসোসিয়েশনের চিঠি

আব্দুস সামাদ,পাটগ্রাম(লালমনিরহাট)প্রতিনিধি
Jan 17, 2025 - 21:52
 0  2
চোরাচালান রোধে ভুটানের ট্রাকে পণ্য পাঠানোর দাবী জানিয়ে ভুটানের রপ্তানীকারক অ্যসোসিয়েশনকে বুড়িমারী অ্যাসোসিয়েশনের চিঠি

বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভুটানের পণ্যবাহী ট্রাক সরাসরি পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে এবং অবৈধ পণ্য বন্ধে ভুটানের রপ্তানীকারক অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি পাঠিয়েছে বুড়িমারী আমদানীরপ্তানীকারক অ্যাসোসিয়েশন। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে বুড়িমারী স্থলবন্দরে পাথর সহ যেসব পণ্য আসে তার বেশীর ভাগ ভুটানের পন্য। এর বেশীর ভাগ পণ্য বুড়িমারী বন্দরের ওপারে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধায় লোড আনলোড করা হয়। পরে ভারতের ট্রাকে লোড করে বুড়িমারী স্থলবন্দরে পাঠানো হয়। এতে আমদানীকারকদের আমদানী ব্যয় বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে ভোক্তাদের ওপরে। অন্যদিকে চ্যাংড়াবান্ধায় লোড আনলোড করার ফলে প্রায়ই পন্যবাহী ট্রাকের কেবিনে এবং পাথরের ভেতরে লুকিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতীয় পণ্য নিয়ে আসায় বুড়িমারী কাস্টম এবং বিজিবির হাতে ধরা পড়ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে আমদানীরপ্তানীকারক এবং সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের। গত ১৪ ডিসেম্বর অবৈধ ভারতীয় মদ এবং প্রসাধনী সামগ্রী কসমেটিকস সহ ভুটানের পাথর বোঝাই একটি ট্রাক আটক করে বুড়িমারী বর্ডার গার্ড বিজিবি। এসব অবৈধ পণ্য ট্রাকের কেবিনে নিয়ে আসা হয়েছিল। বিজিবি ওই ট্রাকের ড্রাইভার ফিরোজ রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। ফিরোজ চ্যাংড়াবান্ধা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। বর্তমানে সে লালমনিরহাটন জেলহাজতে রয়েছে। বিগত সরকারের সময়ে বুড়িমারী কলাবাগান এলাকায় পাথরের ট্রাকে প্রায় কোটি টাকা মুল্যের ভারতীয় মূল্যবান কাপড় বিজিবি আটক করে নিলামে দেন। এভাবে পণ্যবাহী ট্রাকে ভারতীয় অবৈধ পণ্য প্রায়ই আটক হচ্ছে কাস্টম এবং বিজিবির হাতে। আমদানীকারক সুত্র জানায় বুড়িমারী স্থলবন্দরের চেয়ে ভুটান থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার বেশী। এরপরেও আমদানীকারকরা ওই বন্দর দিয়ে ভুটানের পণ্য নিয়ে আসছেন। বুড়িমারী থেকে সেখানে এক থেকে দুই ডলার কম দরে পণ্য পাচ্ছে আমদানীকারকরা। অন্যদিকে ভুটানের পণ্য ভুটানের ট্রাকে সরাসরি বাংলাবান্ধা বন্দরে পাঠানোর কারনে আমদানী ব্যয় কম হচ্ছে এছাড়াও পথে লোডআনলোড না থাকায় পথে চোরাচালানী পণ্য নেয়ার কোন সুযোগ নেই। একারনে আমদানীকারকরা বাংলাবান্ধা বন্দরের দিকে বেশী ঝুকায় বুড়িমারীর ব্যবসায়ীরা মার খাচ্ছে। এ বিষয়ে বুড়িমারী ল্যান্ডপোর্টল ইমপোর্টার অ্যান্ড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আবু রাইয়ান আসয়ারী রছি বলেন আমরা ভুটানের এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভুটানী পণ্য ভুটানের ট্রাকে সরাসরি পাঠানোর দাবী জানিয়ে গত ৪ জানুয়ারী চিঠি পাঠিয়েছি। চিঠির কপি ঢাকায় ভুটানী দুতাবাসেও দেয়া হয়েছে। ভুটান থেকে যেসব পণ্য বুড়িমারী স্থলবন্দরে পাঠানো হয় সেসব ট্রাক চ্যাংড়াবান্ধায় আনলোড করে পরে ভারতীয় ট্রাকে লোড করে বুড়িমারী বন্দরে পাঠানো হয়। এতে আমদানী ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের ওপরে প্রভাব পড়ছে। এছাড়াও পণ্যবাহী ট্রাকে আমদানী রপ্তানীকারক বা সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের কোন প্রতিনিধি থাকেনা। ফলে পথে কোন ড্রাইভার যদি কোন ট্রাকে চোরালানী পণ্য নিয়ে আসেন তার দায়ভারা তো আমরা নিতে পারিনা। তিনি আরও বলেন আমরা চোরাচালান রোধে ট্রাক ড্রাইভারকে সম্পৃক্ত করে ভুটান এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনকে পণ্যবাহী ট্রাকে চোরাচালানী পণ্য নেই মর্মে ঘোষনাপত্র দেয়ারও অনুরোধ করেছি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow