ফরিদপুর মটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের (রেজি: ১০৫৫) অধিগ্রহণকৃত জমির অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণের ৮৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয়েছে তৎকালীন সভাপতি জুবায়ের জাকির, সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাছির, ভাঙ্গা উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি আবুল কালাম মাতুব্বর ও সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমানকে।
জানা গেছে, ভাঙ্গা-মাওয়া-
ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের জন্য ভাঙ্গার হাশামদিয়া মৌজার ৪৭২ নং দাগের ভিটা ও দোকান শ্রেণির ১১ শতাংশ জমি এলএ কেস নং ১২/১৭-১৮ নং এর মাধ্যমে অধিগ্রহণ করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই জমির উপরে অবস্থিত অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ বাবদ ৯২ লাখ ৪৯ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয় ফরিদপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের তৎকালীন সভাপতি জুবায়ের জাকির, সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাসির, ভাঙ্গা উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি আবুল কালাম মাতুব্বর ও সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমানের অনুকূলে। মটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভাঙ্গা শাখার সোনালি ব্যাংক হিসাবে ওই চেক জমা করার পর ২০২১ সালের ১৯ জুলাই ওই ব্যাংক হিসাব থেকে দুটি চেকের মাধ্যমে ৮৭ লাখ টাকা উত্তোলন করেন তারা।
মটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের গঠণতন্ত্র মোতাবেক ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় অবশ্যই কোষাধ্যক্ষ যুক্ত থাকবেন। তবে তারা ওই টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে কোষাধ্যক্ষকে বাদ দিয়েই ওই ব্যাংক হিসাবটি পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ করা হয়।
এদের মধ্যে শ্রমিকলীগের ফরিদপুর জেলা কমিটির সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ নাছির, জুবায়ের জাকির শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি, ফাইজুর রহমান ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এবং আবুল কালাম মাতুব্বর আওয়ামী লীগ নেতা।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের পর তারাও আত্মগোপনে রয়েছেন। এ কারণে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকসেদুর রহমান ৪ জনের বিরুদ্ধে অধিগ্রহণকৃত জমির অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাদীর কাছ থেকে লিখিত এজাহার প্রাপ্ত হয়ে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।