কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১টি সিএনজি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (২বিজিবি)। এসময় জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যং এলাকার মকতুল হোছনের ছেলে শামসু উদ্দিন (৩৭) ও একই ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হোছন (২৮)।
বিজিবি সুত্রে জানা যায়, শনিবার (১৮ জানুয়ারী) ভোরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ উনচিপ্রাং বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৭ হতে আনুমানিক ৩.৫ কিলোমিটার উত্তর দিকে লম্বাবিল শাহজাহানের ডিয়া নামক এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা আদান-প্রদান, ক্রয়-বিক্রয় হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল গোপনে তৎপরতা এবং নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়। এছাড়াও সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছিল।
এমতাবস্থায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং বিওপির একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে একজন ব্যক্তিকে ফরিদ হাজীর মাছের ঘের এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘুরাফেরা করতে দেখে চোরাচালান বিরোধী টহলদল উক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় উক্ত ব্যক্তি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অবৈধ মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে মিয়ানমারের দুইজন নাগরিকের নিকট থেকে অবৈধ মাদক ইয়াবা সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে টহলদল তার দেয়া তথ্য মতে ঘের সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করে পাচারের উদ্দেশ্যে গোপন স্থানে লুকায়িত গেঞ্জি দিয়ে মোড়ানো ৩টি (বিশেষ উপায়ে পানি নিরোধক অবস্থায়) ইয়াবা ভর্তি প্যাকেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার পরিমাণ ৩০ হাজার পিস।
এছাড়া অপরদিকে একইদিনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে যানবাহনযোগে মাদকদ্রব্য পাচার হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ দমদমিয়া এবং হোয়াইক্যং চেকপোস্টে যানবাহন নজরদারী ও তল্লাশী কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়।
কিছুক্ষণ পর কাঞ্জরপাড়া থেকে থ্যাংখালীগামী একটি সিএনজি হোয়াইক্যং চেকপোস্টের নিকট আসলে তা তল্লাশীর জন্য থামানো হয়। পরবর্তীতে উক্ত সিএনজিটি তল্লাশীকালীন চালকের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে চেকপোস্টে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশী করা হয়। তল্লাশীর এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা চালকের সীটের নীচে অভিনব পদ্ধাতিতে লুকায়িত অবস্থায় ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এবং অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে সিএনজিটিও জব্দ করা হয়।
এব্যাপারে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, আটককৃত আসামীদের জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট এবং সিএনজিসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।