তালাবদ্ধ গোয়ালঘর থেকে গরু উধাও

পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের মধ্য ইন্দুরকানী ৩নং ওয়ার্ডের আউরাপোল গ্রামে একই রাতে তিনটি পরিবারের গোয়ালঘর থেকে ছোট-বড় মিলিয়ে ছয়টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) গভীর রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীরা। ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর তথ্যমতে, মো. শাহিন গাজীর গোয়ালঘর থেকে ১টি গাভী ও ১টি বাছুর চুরি হয় যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মো. আলামিন শেখের গোয়ালঘর থেকে চুরি হয় ১টি দেশি গরু ও ১টি এক বছরের বাছুর, যার মূল্য প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। অপরদিকে মো. জহির খানের গোয়ালঘর থেকে চুরি হয় ২টি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৩ লাখ টাকা। এভাবে তিনটি পরিবার মিলিয়ে মোট ছয়টি গরু চুরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও তারা গরুগুলোকে খাবার ও পানি দিয়ে গোয়ালঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ঘুম থেকে উঠে গোয়ালঘরের তালা ভাঙা ও গরুগুলো না পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং থানা পুলিশকে খবর দেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শাহাদাৎ ফকির বলেন, “গরু চুরি আমাদের এলাকায় নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। শুক্রবার খুব ভোরে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে যাই এবং দেখি তিনটি বাড়ির তালাবদ্ধ গোয়ালঘর থেকে ছয়টি গরু চুরি হয়ে গেছে।”
ঘটনার খবর পেয়ে জিয়ানগর থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মারুফ হোসেন বলেন, “বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। চোর শনাক্ত ও গরু উদ্ধারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে।”
গরু চুরির এমন ধারাবাহিক ঘটনায় জনমনে চরম উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী গরু উদ্ধারের পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।
What's Your Reaction?






