ভাঙ্গা মাদ্রাসায় দুঃসাহসিক চুরিঃ ল্যাপটপ,কম্পিউটার,মনিটর,হার্ডডিক্সসহ মূল্যবান সামগ্রী হাতছাড়া
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চৌকিঘাটা গ্রামে অবস্থিত চৌকিঘাটা দাখিল মাদ্রাসায় এক দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। মাদ্রাসার নৈশ প্রহরীর অনুপস্থিতিতে মাদ্রাসার মূলগেট ও ল্যাব রুমের তালা ভেঙে দুর্বৃত্ত দল মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা মাদ্রাসা থেকে ১৫টি ল্যাপটপ, ১টি কম্পিউটার, ১টি মনিটর, ১টি হার্ডডিক্স চুরি করে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। এঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মাদ্রাসার সুপার বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রসঙ্গতঃ সোমবার দিবাগত রাতে ওই মাদ্রাসায় চুরির ঘটনাটি ঘটে। এতে ১০ লক্ষাধিক টাকার বেশী মূল্যের মালামাল নিয়ে যায় বলে তারা দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ রুবেল জানান, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে নৈশপ্রহরী সাহেব আলী আমাকে ফোন করে জানান, স্যার মাদ্রাসায় চুরি হয়েছে। আমি সাথে সাথে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখি, মাদ্রাসার মূল গেট ও সুপারের কক্ষ, ল্যাব রুম সহ বেশ কয়েকটি রুমের তালা ভেঙে ১৫টি ল্যাপটপ, ১টি মনিটর, ১টি কম্পিউটার, সিসি ক্যামেরা ও হাডডিক্স চুরি করে নিয়ে গেছে। পরে ফোনে কয়েকজন শিক্ষককে বিস্তারিত জানিয়েছি।
এ বিষয় চৌকিঘাটা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুস সালাম জানান, সকালে মাদ্রাসায় এসে দেখি আমার মাদ্রাসার আলমারি ভেঙে কাগজপত্র ও ল্যাব রুম থেকে ১৫ টি ল্যাপটপ, ১টি কম্পিউটার, একটি হার্টডিক্স ও মনিটরসহ অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে দুর্বৃত্ত দল । এর আনুমানিক মুল্য কমপক্ষে প্রায় ১০ লাখ টাকা হবে। ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ভাঙ্গা থানার ওসি বরাবর ১টি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার জন্য তিনি নাইট গার্ড সাহেব আলীকে দায়ী করেন।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার নিরাপত্তা কর্মী নাইটগার্ড মোঃ সাহেব আলী জানায়, আমার মাদ্রাসায় নাইট ডিউটি ছিল কিন্তু আমার ছেলে অসুস্থ থাকায় তাকে নিয়ে হাসপাতালে থাকার কারনে রাত অনুমানিক আড়াইটার সময় মাদ্রাসায় গিয়ে চুরির ঘটনা দেখতে পাই। পরে আমি এক শিক্ষককে ফোন করে জানাই।
আমার ছেলেকে ভাঙ্গা এলাকার লোকজন অন্য একটি ঘটনায় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে মারধর করে পা ভেঙে দিয়েছে। ছেলেকে নিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিলাম। তাই মাদ্রাসায় আসতে অনেক রাত হয়েছে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম কুদরত এ খুদা জানান, মাদ্রাসার সুপার আব্দুস ছালাম সাহেব সহ শিক্ষকেরা আমার নিকট এসেছিল। চুরির ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানালো। আমি সাথে সাথে ভাঙ্গা থানার ওসিকে বলে দিয়েছি। সরকারি মালামাল উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন আল রশিদ বলেন, চুরি ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়েছিল। তদন্ত সাপেক্ষে মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাব ।
What's Your Reaction?