ধর্ষণ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন

দেশজুড়ে ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়া ধর্ষণ, নারীদের প্রতি সহিংসতা, যৌন নিপীড়ন ও অনলাইনে হেনস্তার প্রতিবাদ এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণকারীরা নারীদের প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবিতে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে স্লোগান দেন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শহীদুল ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আকতার হোসেন, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এম এম আইয়ুব হোসেন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নাজমা আক্তারসহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র নিবির ইকবাল ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী নাওমি নওয়াব।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপাচার্য ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “মাগুরায় আট বছরের শিশু আছিয়াকে নির্মমভাবে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা আমাদের সবাইকে মর্মাহত করেছে। শুধু আছিয়া নয়, সমগ্র বাংলাদেশে ধর্ষণ ও নারীদের প্রতি সহিংসতা ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। শিশু, কিশোরী, গর্ভবতী নারী থেকে শুরু করে বৃদ্ধারাও এ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ঘর থেকে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ও নারীদের জন্য নিরাপদ নয়। দেশের বিবেকবান মানুষ আজ স্তম্ভিত।”
তিনি আরও বলেন, “ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে অপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।”
সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা “আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই”, “সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকদের ফাঁসি দে” এবং “জাস্টিস, জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস” বলে স্লোগান দেন। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে প্রতীকী ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর করে তারা নিজেদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ প্রকাশ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও অনলাইনে হেনস্তার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিবার ও সামাজিক সংগঠনকে এক হয়ে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
সমাবেশ শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
What's Your Reaction?






