নওগাঁয় নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে লাল কার্ড প্রদর্শন ও মানববন্ধন

দেশে চলমান নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা ও নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাল কার্ড প্রদর্শন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টায় নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে তারা হাতে লাল কার্ড নিয়ে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।
এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ফজলে রাব্বি, ফরিদ হোসেন, রাকিবসহ আরও অনেকে। তারা বলেন, সম্প্রতি দেশে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ছে। সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বক্তারা আরও বলেন, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বন্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ করার সাহস না পায়। তারা প্রশাসনের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “রাষ্ট্র যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারে, তবে সাধারণ মানুষ নিজেরাই রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।”
বক্তারা বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখা গেছে, স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ৩৬ দিন লেগেছিল। কিন্তু ছাত্রসমাজ জেগে উঠলে ৩৬ মিনিটও লাগবে না। তাই সময় থাকতেই ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে।”
এই কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে দাবি জানান, যেন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তারা বলেন, “আমরা চাই একটি নিরাপদ বাংলাদেশ, যেখানে নারীরা নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারবে, যেখানে কোনো শিশু ধর্ষণের শিকার হবে না, যেখানে বিচারব্যবস্থা হবে স্বচ্ছ ও কঠোর।”
নারী ও শিশুদের প্রতি অব্যাহত সহিংসতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের এই আন্দোলন চলবে, যতদিন পর্যন্ত দোষীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না পায়।”
What's Your Reaction?






