নওগাঁয় ২০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ডলফিন এনজিও‘র মালিক'সহ আটক-৬
নওগাঁয় ২০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ডলফিন এনজিও'র মালিক আব্দুর রাজ্জাকসহ ০৬ জনকে যৌথ অভিযানে আটক করেছে র্যাব-৫ এবং র্যাব-১১। রবিবার দুপুরে শহরের সার্কিট হাউজে র্যাবের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্যগুলো জানানো হয়।
র্যাব-৫ এবং র্যাব-১১ এর আভিযানিক দল নওগাঁয় গ্রাহকের সঞ্চয় প্রায় ২০কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ডলফিন নামে এক এনজিও'র মালিক সদর উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের নাছির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪৩) কে নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানধীন তারাব বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আটক করেছে।
এছাড়াও ফতেহপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে রিপন (১৮), রজাকপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন মন্ডলের ছেলে পিয়ার আলী (৪০), ইকরতারা গ্রামের মৃত লায়ের উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আতোয়ার রহমান আতা (৬০), একই গ্রামের পিয়ার আলীর স্ত্রী শিল্পি বেগম (৩৫) ও ফতেহপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী সুমি বেগম (৩২) কে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নওগাঁ জেলার সদর থানাধীন ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালে ডলফিন সেভিংস এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড (রেজিঃ নং-১২৪৩) নামে একটি সংস্থা গড়ে তোলেন। গ্রামের সহজ সরল মানুষকে প্রতিমাসে ১ লক্ষ টাকায় তার এনজিও'তে ২,০০০-২,৫০০/- টাকা মুনাফা দেওয়ার আশ্বাস। দিয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেন। ডলফিন এনজিও'তে এলাকার অনেকেই সঞ্চয়পত্র থোলার নামে অল্প অল্প করে বড় অংকের টাকা আমানত হিসেবে জমা করে। ডলফিন এনজিও'র অফিসে গ্রাহকগণ জমানো টাকার মুনাফা প্রথম তিন মাস পেলেও পরবর্তীতে মুনাফা বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে যায় ডলফিন এনজিও।
তথ্যমতে, আব্দুর রাজ্জাকসহ তার বোন মোছাঃ শিল্পি বেগম, স্ত্রী মোছাঃ সুমি আক্তার, মোঃ রিপন এনজিও'র সভাপতি পিয়ার আলী, ম্যানেজার মোঃ আতোয়ার রহমান আতা এবং ক্যাশিয়ার মোঃ রিপন হোসেন এলাকার জনসাধারণের কাছ থেকে ১ লাখ টাকায় ২ হাজার টাকা লাভ দেয়ার কথা বলে উক্ত এনজিও'তে ৩০০ জন এর বেশি গ্রাহককে সঞ্চয় রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন।
পরবর্তীতে গ্রাহকগণ সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করতে গেলে আজ আসো কাল আসো বলে গ্রাহকদের টাকা দিতে কালক্ষেপন করতে থাকে। ডলফিন এনজিও'র মালিক আব্দুর রাজ্জাক, শিল্পি বেগম, সুমি আক্তার, পিয়ার আলী এবং রিপন গ্রাহকদের টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার পর থেকেই র্যাব-৫ এবং ব্যাব-১১ এর গোয়েন্দা দল তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আব্দুর রাজ্জাক, রিপন, পিয়ার আলী, আতোয়ার, শিল্পি বেগম এবং সুমি আক্তার কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
What's Your Reaction?