নগরকান্দায় ছাই তৈরীর কারখানা থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ফসলি জমির ফসল নষ্ট
ফরিদপুরের নগরকান্দার গোপালকোরদী গ্রামে অবস্থিত অ্যালার্ট কার্বন ফ্যাক্টরিতে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ড এখনো থামছে না।
গত সোমবার বিকালে লাগা অগ্নিকাণ্ডে কার্বন ফ্যাক্টরির আশপাশের প্রায় তিরিশ একর ফসলি জমির পেঁয়াজ, রসুন, গম নষ্ট হয়ে গেছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে গোপালকোরদী এলাকায় পাটখড়ি থেকে ছাই তৈরির একটি কারখানা গড়ে উঠেছে।
ওই কারখানা থেকেই সোমবার বিকালে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
আগুন মুহূর্তের মধ্যেই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রায় ৮০/৯০ ফুট উপরে আগুন উঠে যায়। ওই আগুনের ফুলকি আশপাশের ফসলের জমিতে পড়ে জমির সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে নগরকান্দা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত ঘটনা স্থলে যেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া পানিতে পেঁয়াজের জমি তলিয়ে যায়।
একদিকে আগুনের তাপ অপরদিকে অসময়ে পেঁয়াজে পানি লাগায় ওইসব পেঁয়াজের জমি সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন- অগ্নিকাণ্ড তাদের প্রায় ৩০ লাখ টাকার ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে না পেরে কৃষকেরা এখন অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যৎ দেখছেন।
অপরদিকে নগরকান্দা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম দৈনিক খোলাচোখকে বলেন- কত টাকার ক্ষতি হয়েছে তা আমরা এখনো নিরূপণ করতে পারিনি। তদন্ত চলছে, তদন্ত করেই আমরা জানতে পারবো প্রকৃতপক্ষে কত টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কার্বন ফ্যাক্টরির অগ্নিনির্বাপক লাইসেন্স আছে কিনা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শরিফুল ইসলাম বলেন- এ বিষয়টি এখনো আমরা খতিয়ে দেখিনি, আগে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে এলার্ট কার্বন ফ্যাক্টরির ম্যানেজার জুবায়ের ভূঁইয়া বলেন- প্রায় দেড়শ শতাংশ জমির উপরে তারা কার্বন ফ্যাক্টরি গড়ে তুলেছেন। অগ্নিনির্বাপক লাইসেন্স এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান-তাদের কাগজপত্র সব ঠিক আছে।
অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, তিনি সোমবার গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন করেছেন। অগ্নিনির্বাপক লাইসেন্স এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দেখানোর জন্য ফ্যাক্টরি মালিকপক্ষ দুইদিন সময় চেয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে যেহেতু মালিকপক্ষ বিপর্যস্ত তাই তাদেরকে দুদিনের মধ্যে কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়েছে। যদি তারা কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা দেওয়া হবে।
What's Your Reaction?