নগরকান্দায় সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ জনজীবন

ফরিদপুর-মুকসুদপুর সড়কের নগরকান্দা পৌরসভার কলেজ রোড বাসস্ট্যান্ডের পাশে গড়ে উঠেছে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনার অস্থায়ী ভাগাড়। এতে সৃষ্ট দুর্গন্ধে নাকাল হয়ে পড়েছেন যানবাহনের চালক, যাত্রী, পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার অসংখ্য শিক্ষার্থী নাক-মুখ চেপে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে কার্যক্রম চালালেও এখনো নির্দিষ্ট কোনো ডাস্টবিন বা ময়লা ফেলার স্থান নেই নগরকান্দা পৌরসভার। ফলে বাসাবাড়ি ও বাজার এলাকার ময়লা যেখানে-সেখানে ফেলে রাখায় দুর্গন্ধ ও জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, এই সড়কের পাশেই রয়েছে উপজেলা এসিল্যান্ড অফিস, পৌরসভা ভবন, কেন্দ্রীয় মসজিদ, টিএনটি অফিস, আল-দিন ফাউন্ডেশন, শায়েখ জাকারিয়া (রহ.) এরাবিক মডেল মাদ্রাসা, ফয়জুন্নেসা মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা, সরকারি নগরকান্দা কলেজ, একাধিক ব্যাংক-বীমা অফিস ও শোরুম। ভাগাড়ের বিপরীত পাশেই রয়েছে দোকানপাট ও ভিআইপি আবাসিক এলাকা।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আসাদুজ্জামান (স্বপন মোল্লা) ও ফল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহিন মিয়া জানান, নাগরিকদের বারবার অনুরোধে পৌর কর্তৃপক্ষ এখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করলেও বাসাবাড়ির মানুষ এখনো নিয়মিতভাবে এখানে আবর্জনা ফেলছেন।
স্থানীয় গৃহিণী পারভিন ও খবিরন বেগম জানান, দুর্গন্ধে বসবাস করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। শিশুরা পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে খাবার খেতে পারছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জয়দেব কুমার সরকার ও ডা. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, খোলা স্থানে ময়লা ফেলার ফলে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এতে করে মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ার আশঙ্কা থাকায় ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধদের।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, “পৌরসভার নিজস্ব কোনো ডাস্টবিন বা জমি না থাকায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অস্থায়ীভাবে একটি ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করলেও তা চুরি হয়ে গেছে। নতুন করে ডাস্টবিন স্থাপনের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে।”
What's Your Reaction?






