নরসিংদীতে বাড়ীতে ঢুকে মা মেয়েকে কুপালো দূর্বৃত্তরা, নিহত মেয়ে আহত মা
নরসিংদীতে বাড়ির ভেতরে ঢুকে মা-মেয়েকে উপর্যুপরি কোপানোর ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মেয়ে সুমনা আক্তার তিথি (১৩) নিহত আর মা আসমা বেগম (৪০) গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিন বছর বয়সী এক শিশুকে। বর্তমানে আসমা অচেতন অবস্থায় রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের সেকেরচর মাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে কে বা কারা ঠিক কি কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তা নিশ্চিত হতে পারছেন না পুলিশ বা পরিবারের সদস্যরা।
নিহত সুমনা আক্তার তিথি ও আহত আসমা বেগম নরসিংদী সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের সেকেরচর মাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মুদি দোকানী মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে এবং স্ত্রী। মোফাজ্জল ও আসমা দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে নিহত সুমনা আক্তার তিথি তৃতীয় সন্তান ও স্থানীয় মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, দোকান বন্ধ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফিরেন মোফাজ্জল হোসেন। ঘরে ঢুকেই তিনি স্ত্রী ও সন্তানকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় প্রতিবন্ধী ছেলেকে অক্ষত অবস্থায় বাথরুমে দেখতে পান। আশপাশের লোকজন মোফাজ্জলের চিৎকার শুনে গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনা আক্তার তিথিকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আসমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন। রাতেই আসমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন।
মোফাজ্জল হোসেন জানান, কে বা কারা কী কারণে ঘরে ঢুকে তাঁর স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
সেকেরচর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাসুদ আলম জানান, গতরাত সাড়ে ৯টার দিকে দুর্বৃত্ত্বরা ওই বাড়িতে ঢুকে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। অচেতন আসমা বেগম সুস্থ হয়ে ফিরলে পুরো ঘটনা জানা সম্ভব হবে। এরই মধ্যে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে, জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
What's Your Reaction?