ফরিদপুরে ইলিশের আড়ত ও নকল শিশু খাদ্যের কারখানায় জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান
ফরিদপুরে ইলিশের আড়ত ও নকল শিশু খাদ্যের কারখানায় জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ সময় একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। এছাড়া অভিযানের পর ইলিশের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। বৃহস্পতিবার জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের সার্বিক নির্দেশনা ও সহযোগিতায় ফরিদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখ এর নেতৃত্বে হাজী শরীয়তউল্লাহ বাজারে ইলিশের পাইকারি আড়তে এবং চরজ্ঞানদিয়া, অম্বিকাপুর বাজারে নকল শিশু খাদ্যের কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। ইলিশের আড়তে পাকা ক্রয় রশিদ না থাকা, ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেশি নেয়া ও ওজনে করসাজি করায় রুপালী ফিস ও দুর্গা মৎস্য আড়তকে ৪০,০০০ টাকা করে মোট ৮০,০০০ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। অভিযানের ফলে ইলিশের দাম প্রকারভেদে ১৭০০ টাকা থেকে কমে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কমে যায়। পাকা ভাউচার সংরক্ষণ করা এবং ইলিশের বাজারে সিন্ডিকেট যেন না হয় মর্মে ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করা হয়।
এরপর শহরের অম্বিকাপুর বাজারের চরজ্ঞানদিয়া এলাকায় নকল-ভেজাল শিশু খাদ্য আইস ললিপপ, রোবো ড্রিংকসের কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া শিশু খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার অপরাধে আব্দুল্লাহ ফুড এন্ড বেভারেজকে ৪৫,০০০ টাকা জরিমানা আরোপ এবং কারখানা বন্ধ করা হয়। অভিযানে মোট ৩টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অনিয়মে ১,২৫,০০০ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বিষয়ক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সদস্য মো: আব্দুল কাইয়ুম, জাহিদ, রুবেল এবং জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ব্যাটালিয়ন আনসার এবং সংশ্লিষ্ট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন। সকাল ৮ টা হতে দুপুর ১২:৪৫ মিনিট পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
What's Your Reaction?