ফরিদপুরে একজন তরুণ উদ্যোক্তা মোসাদ্দেক মন্ডল রাহাত
ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলাধীন ৬নং মাচ্চর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দয়ারামপুর গ্রামের মো: মিজানুর রহমান মন্ডলের ছেলে মো: মোছাদ্দিক মন্ডল রাহাত।
ফরিদপুর জেলা স্কুলের সপ্তম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় বাহারী রঙ্গের রঙ্গিন মাছ দেখে নিজের মনের মধ্যে মাছ পোষণটা শুরু করেন। মা-বাবার দেয়া হাত খরচের টাকা বাচিয়ে সঞ্চয় অর্থ দিয়ে ১দিন কিনে নিয়ে আসেন শখের অ্যাকুরিামে পোষা বাহারী রঙ্গের রঙ্গিন কয়েকটি মাছ। এই শখের মাছ থেকে পর্যায়ক্রমে চারি থেকে হাউসে শুরু হয় মাছ পোষা ও অনলাইনে মাছ ক্রয়-বিক্রয় করা। বর্তমানে রাহাত মন্ডল ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের একাদশ শ্রেণীতে অধ্যরত আছেন। লেখা-পড়ার পাশা-পাশি রঙ্গিন মাছের চাষে রাহাত মন্ডল হয়ে যায় সফল উদ্যোক্তা। বাহারী রঙ্গের মাছ চাষে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পান জেলা প্রশাসক, ফরিদপুর এর পুরস্কার। বর্তমানে তার দাদার, চাচাদের ও বাবার সমষ্টিগত পারিবারিক সম্পদে ৪টি পুকুরে রঙ্গিন মাছ চাষ করেন এবং গড়ে তুলেন মাছের হ্যাচারী। কোয়েকাপ, গোল্ড ফিস, গাফফি, জেবরা,কমেটসহ নানা প্রজাতির প্রায় দুই লক্ষাধিকের বেশি রঙ্গিন মাছের পোনা উৎপাদন করেছে। অনলাইনের মাধ্যমে দেশের প্রায় ৪০টি জেলায় বিক্রি করছেন। কিন্তু বর্তমান বাজার চাহিদার কারণে উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য এখন তার আরও ৩/৪ একর জমিতে পুকুর খনন করা প্রয়োজন। বর্তমানে তার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০০টি হাউস, অক্সিজেন সরবরাহকারী মেশিন, মটর ও অন্যান্য আরও অনেক উপকরণ প্রয়োজন । কিন্তু তাহা আর্থিক সংকটের কারণে সে তার চাহিদা অনুযায়ী মৎস্য উৎপাদন করতে পারছেনা। জনাব মো: মোছাদ্দিক মন্ডল রাহাত ব্যাংকে বেশি সুদের লোন থাকায় সরকারের নিকট আর্থিক সহযোগিতা অথবা সরকারি লোন প্রাপ্তির জন্য সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তার হ্যাচারিতে বর্তমানে ৭জন কর্মরত আছেন। সরকারি সহযোগিতা পাইলে ভবিষ্যতে তাহার প্রকল্প বৃদ্ধি পেয়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং অনেক পরিবার কাজের সুযোগ পাবে। তাই সে তার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সকলের একান্ত সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেছেন। তার এই হ্যাচারী দেখে অনেক শিক্ষিত ও বেকার যুবক মৎস্য চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ।
What's Your Reaction?