ফরিদপুরে চাকরি পুনর্বহাল এর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
ফরিদপুরে চাকরি পুনর্বহাল এর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ঢাকায় পিলখানা সীমান্ত বাহিনীর সদর দপ্তরে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে খুনি ও তৎকালীন স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন হত্যার পুনর্বিচারের দাবি এবং জওয়ানদের চাকরি পুনর্বহাল এর দাবিতে উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন নজরুল ইসলাম , মোহাম্মদ ফারুক মোঃ হায়দার হোসেন, বিডিআর সদস্য শওকত শিকদারের পুত্র ফাহিম শিকদার। পরে তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ ও জুলফিকার হোসেন জুয়েল।
বিক্ষোভ সমাবেশে মানববন্ধনে বিডিআর সদস্যরা বলেন ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ঐ সময় আমাদের প্রায় ১৮ হাজার সদস্যকে কোন কারণ ছাড়াই অন্যায় ভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আমরা এতদিন মুখ খুলতে পারিনি। আমাদের দাবির কথা কাউকে বলতে পারিনি কিন্তু গত ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে হাসিনা সরকারের পতন হয়। এখন আমরা আমাদের চাকরি ফেরত চাচ্ছি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এটা আমাদের প্রাণের দাবী। আমাদের অনেক সদস্য ওই ঘটনায় এখনো কারাগারে বন্দি আছেন তাদের মুক্তি দাবি করছি। মূলত আমাদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ দেয়া হয়েছে এবং চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
তারা বলেন যারা বিডিআর বিদ্রোহের সাথে জড়িত ছিল তারা এখনো বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকেই চাকরি করছে। অথচ আমরা কোন অপরাধ না করেও দিনের পর দিন মানবতার জীবনযাপন করছি। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের অংশ হিসেবে ওই বিডিআর বিদ্রোহ সংগঠিত হয়েছিল। আমরা এই ঘটনার সুস্থ তদন্ত দাবি করছি। এবং এর কাছে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এর আগে শহরের পুরাতন বাস স্ট্যান্ড থেকে একটি মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
What's Your Reaction?