বিদেশে যাওয়ার জন্য সরকার অনেক সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছে। সরকারি এতো সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হলেও মানুষ কেন দালালদের খপ্পড়ে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সে বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
ফরিদপুরে ‘নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান , মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ফরিদপুর ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ইয়াছিন কবির।
তিনি বলেন, সরকারি সুযোগ সুবিধার বার্তা আমরা বিদেশগামীদের কাছে পৌছে দিতে খুব একটা সক্ষম হচ্ছি না। ফলে আমাদের সন্তানেরা প্রতারিত হচ্ছে , দালালদের খপ্পড়ে পড়ছে, নৌকায় করে ভুমধ্যসাগর পাড় হতে গিয়ে ডুবে মারা যাচ্ছে।
‘দায় আমরা এড়াতে পারি না’-মন্তব্য করে মো. ইয়াছিন কবির বলেন, প্রবাসী কল্যাণ জনশক্তি মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার পর্যন্ত সকলেরই এ অবৈধ অভিবাসন রোধে ভুমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি সরকারি সুযোগ সুবিধা বাধাহীন ও নিরবিচ্ছিন্ন করতে হবে, তবেই অবৈধ ভাবে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ফরিদপুর সদরের সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. সম্রাট হোসেন, ফরিদপুর টিটিসির অধ্যক্ষ মো. আকতারু
জ্জামান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবাসী কল্যাণ শাখার সহকারি কমিশনার নাজমুন্নাহার, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক পান্না বালা, নারীনেত্রী আসমা আক্তার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ও স্বাগত বক্তব্য দেন ফরিদপুর ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হারুন অর রশীদ।
বক্তারা বলেন, ‘দক্ষ হয়ে বিদেশে যাবো’, ‘সরকারি ভাবে বিদেশে যাবো’- এ বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। তা না হলে মানুষ প্রতারিত হতেই থাকবে। এ অবস্থার উন্নয়নে আমাদের সকলকে একটি ছাতার নিচে এসে এক সাথে কাজ করতে হবে।
ওই সেমিনারে জানানো হয়, ১৯৭৬ থেকে ২০২৪ সালের ২৭ মে পর্যন্ত ফরিদপুর থেকে দুই লাখ ৭৩ হাজার ৮ জন পুরুষ এবং ৬৬ হাজার ৫৭৯ জন নারীসহ মোট দুই লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৭ জন নারী-পুরুষ সরকারি উদ্যোগে বিদেশে গেছে।