বান্দরবানে গুড ফ্রাইডে উপলক্ষে ধর্মীয় উৎসবে সেনাবাহিনীর সহায়তা

প্রাকৃতিক রূপ ও বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ বান্দরবান জেলা শুধু নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্যই নয়, বরং ধর্মীয় সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবেও পরিচিত। এ জনপদের উন্নয়নে বরাবরের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। জীবনমান উন্নয়ন থেকে শুরু করে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে সহায়তা—সব ক্ষেত্রেই সেনাবাহিনীর অবদান উল্লেখযোগ্য।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন ‘গুড ফ্রাইডে’। এই দিনটিকে ঘিরে বান্দরবানের বম ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ থাকে প্রবল। সেই উৎসবকে আরও সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে পাশে ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল ২০২৫), গুড ফ্রাইডে উপলক্ষে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক-এর পক্ষ থেকে বাকলাই পাড়া সেনা সাবজোনের তত্ত্বাবধানে বাসিরাম পাড়া, বাকলাই পাড়া এবং প্রাতাপাড়া এলাকায় পাড়াবাসীর জন্য বিতরণ করা হয় মিষ্টান্ন, কেক, উপাসনালয়ের জন্য সাজ-সরঞ্জাম এবং আর্থিক সহায়তা। এসব বিতরণ করেন সাবজোন কমান্ডার নিজে।
পাড়ার লোকজন সেনাবাহিনীর এ সহযোগিতায় খুশি। বাসিরাম পাড়ার কারবারি জীবন ত্রিপুরা বলেন, ‘আমাদের ধর্মীয় এই বড় উৎসবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাশে থাকায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ।’ বাকলাইপাড়ার স্কুলশিক্ষক জয় রাম বম বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের উৎসব আরো আনন্দময় হয়ে উঠেছে। পাড়াবাসী সবাই এতে খুশি।’
প্রাতাপাড়ার কারবারি পার্কেল বম বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সহায়তায় আমরা পুনরায় পাড়ায় ফিরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছি। শুধু আজ নয়, সার্বিক উন্নয়নে তাঁদের অবদান আমাদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এ বিষয়ে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক বলেন, ‘ধর্মীয় উৎসব মানেই আনন্দের দিন। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমরা সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এই বিশেষ দিনে তাদের উৎসব সুন্দরভাবে উদযাপন করতে সহায়তা করতে পারাটা আমাদের দায়িত্বের অংশ। শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টা সব সময় চলমান থাকবে।’
What's Your Reaction?






