বিজয়নগরে কুল চাষে বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

কুল একটি স্বল্পমেয়াদী অধিক পুস্টি সমৃদ্ধ ফল। বছরের যে কোনো সময়েই কুলের আবাদ করা যায়। তবে বর্ষা মৌসুম হচ্ছে কুলে’র চারা লাগানোর উৎকৃষ্ট সময়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলা বিজয়নগর ফলের রাজ্য হিসাবে বেশ পরিচিত। বিজয়নগরে লাল রঙের মাটি এবং এখানকার আবহাওয়া বিভিন্ন জাতের ফল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কুল একটি স্বল্পমেয়াদী ও লাভজনক ফল হওয়ায় দিনদিন কুলের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এই উপজেলায়। চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আপেল কুল, বাউ কুল, বল সুন্দরী, কাশ্মীরি সুন্দরী এবং স্থানীয় বিভিন্ন জাতের কুলের আবাদ হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদারকি ও চাষীদের আন্তরিকতায় উপজেলায় এবছর কুলের বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর বিজয়নগর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে। এসব জমি থেকে ২৪০০ মেট্রিকটন কুল উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য সাড়ে ৩ কোটি টাকা।
উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামে সরেজমিনে দেখা যায় বাদুর, কাঁঠবিড়ালি এবং অন্যান্য পাখি যেন কুল নষ্ট করতে না পারে নেট জাল দিয়ে বাগানগুলো ঢেকে রেখেছে চাষীরা।
উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের জহির মাস্টার জানান, গত ২০ বছর আগে তিনি ২ বিঘা জমিতে কুল চাষ করেছেন। এরপর থেকে প্রতিবছর তিনি দেড় থেকে দুই লাখ টাকার কুল বিক্রি করেন। কুলের চাহিদা বেশি থাকায় কুল প্রেমীরা বাগান থেকেই কুল ক্রয় করে নিয়ে যায়। প্রতি কেজি কুল এখন ১০০ টাকা ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। এবছর প্রায় দুই লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবে বলে আশা তার।
বিজয়নগর উপজেলা কৃষি অফিসার জিয়াউল ইসলাম জানান, কৃষকদেরকে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় এনে কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে এবং মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি অফিসারগণ বাগান পরিচর্যা, রোগ বালাই দমন, সেচ ও সার ব্যবস্থাপনার জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। বিজয়নগরের মাটি ও আবহাওয়া ফল চাষের উপযোগী হওয়ায় এবং কুল স্বল্পমেয়াদী ও লাভজনক ফল হওয়ায় দিনদিন এর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
What's Your Reaction?






