বিজয়নগরে প্যানেল চেয়ারম্যানের পদত্যাগ, সাথী রানীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

মাহমুদুল হাসান,স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
Nov 10, 2024 - 20:51
 0  4
বিজয়নগরে প্যানেল চেয়ারম্যানের পদত্যাগ, সাথী রানীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ২নং চান্দুরা ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়ে ধুম্রজাল, বিপাকে জনসাধারণ। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী ফ্যাসীবাদী সমর্থক জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে চলে যায়। এরই মধ্যে চান্দুরা ইউপি চেয়ারম্যান এম এ শামিউল হক চৌধুরী অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে কর্মস্থল থেকে দূরে চলে যান। 

জানা যায়, ১৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ইউনিয়ন পরিষদের সকল মেম্বারদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে চক্ষু চিকিৎসার অজুহাতে ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) থেকে ২ নভেম্বর (শনিবার)  পর্যন্ত এ এম শামিউল হক চৌধুরী পরিষদ থেকে ছুটি নেন। তার অবর্তমানে প্যানেল চেয়ারম্যান (এক), অত্র ইউনিয়নের ৩নং সংরক্ষিত আসনের ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার সাথী রানী দাস দায়িত্ব পালন করবেন। সাথী রানী তার দায়িত্ব পালন কালে গত ৩১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পরিষদে উপস্থিত হয়ে সকল মেম্বারদের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে স্বাক্ষর করে পদত্যাগ করেন। এর পর থেকে চান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদে সাধারন লোকজন এসে ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছে। 

৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার ) উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে সকল মেম্বার ও ইউপি সচিব মিলে উক্ত পদত্যাগ পত্র জমা দিতে গেলে,  উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাথী রানীকে সরাসরি হাজির হয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দিতে বলেন।  ১০ নভেম্বর (রবিবার ) প্রশাসনের আদেশ অনুযায়ী সাথী রানী উপস্থিত হয়ে তার স্বাক্ষরিত এই পদত্যাগ পত্র লিখিত জবাবে অস্বীকার করলে বর্তমানে চেয়ারম্যান শূন্য হয়ে পরে। এতে করে পরিষদের সকল কাজ স্থবির অবস্থায় ও ভোগান্তিতে জনসাধারণ। এ বিষয়ে আরো জানা যায়,মহিলা সংরক্ষিত আসনের সাথী রানী দাস, চেয়ারম্যান শামিউল হক চৌধুরীর স্বজন প্রীতিতে, ভিডব্লিউবি ২০২২-২৩ ও ২০৩-২৪ অর্থবছরের ১০০ নং ক্রমিকের কার্ড তার নিজ নামে ২২০ টাকা পরিশোধে ৩০ কেজি চাউল এর সহযোগিতা প্রতিমাসে ভোগ করতেন, যাহা নিয়ম বহির্ভূত। এমনকি সরকারের মাসিক খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির তালিকায় সাথী রানী দাসের শ্বশুর জয় কুমার দাসের নামও তালিকাভুক্ত রয়েছে। দুর্নীতির ভিডিও চিত্রে তথ্য পাওয়া যায়, তার এলাকায় গর্ভকালীন ভাতা দিবে বলে, ভাতা ভুগিদের কাছ থেকে দুই হাজার থেকে পাঁচ  হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, প্যানেল-২ দাবি করেন প্যানেল-১ পদত্যাগ করেছে, কিন্তু প্যানেল-১ হাজির হয়ে তার পদত্যাগ অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।  প্যানেল-১ এর দুর্নীতি কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কিছু জানা নেই, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow