বিজয়নগরে প্রথমবারের মতো ২০০ দৌড়বিদের অংশগ্রহনে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত

রান ফর হেলথ, রান ফর ইউনিটি' দৌড় হোক সুস্থতার ও একতার শ্লোগানে প্রথম বারের মতো বিজয়নগরে অনুষ্ঠিত হলো মিনি ম্যারাথন। এতে বিভিন্ন বয়সী কোমলমতি শিশু, নারী ও পুরুষ দৌড়বিদ অংশগ্রহণ করেন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে বিজয়নগর রানার্স কমিউনিউটির আয়োজনে উপজেলা মাঠ থেকে তিনটি ক্যাটাগরিতে এই ম্যারাথন শুরু হয়। ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করতে ভোর সকালে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দৌড়বিদরা উপস্থিত হয়।
ভোরের আলো ফুটে ওঠার সাথে সাথেই শুরু হয় মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিযোগীরা ভোররাত থেকে উপজেলা মাঠে এসে জড়ো হন। পরে উপজেলা চত্বর থেকে দশ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড় শুরু হয়। উপজেলার আউলিয়া বাজার ঘুরে আবারও উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয় এ ম্যারাথন। দশ কিলোমিটার দৌড়ে তরুণ-তরুণী দৌড়বিদরা অংশ নেন। পরে বয়সভিত্তিক ক্যাটাগরিতে একাধিক ধাপে দুই ও পাঁচ কিলোমিটার দৌড়ে অংশগ্রহণ করেন প্রতিযোগীরা।
এ সময় অংশগ্রহণকারীরা জানান, সুস্থ দেহ সবল মনের জন্য দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই। এ ধরনের আয়োজন আরও বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
১০ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার ও ২ কিলোমিটার তিনটি ক্যাটাগরিতে ১৮৭ জন পুরুষ, ৭ জন মহিলা ও ৮ জন শিশু অংশগ্রহণ করেন। তাদের এই দৌড় প্রতিযোগিতা সহযোগিতা করার জন্য ২৫ জন সাপোর্টার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত ছিলেন।
ম্যারাথনে অংশ নেয়া সোহান বলেন, ‘আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এখানে এসে ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছি। এর আগেও আমি এমন অনেক ম্যারাথনে অংশ গ্রহন করেছি। তবে এবার খুব ভালো লাগল। কারণ, অন্যবারের তুলনায় এবার বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে। বিজয়নগর রানার্স কমিউনিটি এমন আয়োজন করায় আমরা অনেক আনন্দিত। আগামী দিনেও আরও বেশি মানুষের উপস্থিতিতে আমরা অংশগ্রহণ করতে চাই।
অন্তর নামে আরেক অংশগ্রহণকারী বলেন, ‘আমি সরাইল থেকে এসে অংশগ্রহন করেছি। সুস্থ দেহের জন্য দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই। আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি। এমন আয়োজন আমাদের জন্য খুব আনন্দের। এমন আয়োজন আরও বেশি বেশি করা হলে যুবসমাজ দৌড়ের দিকে উৎসাহিত হবে বলে আমরা মনে করি।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ এ.কে আজাদ বলেন, ‘বর্তমান সময়ে আমাদের সুস্থ থাকাটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য প্রতিদিন আমাদের হাঁটতে হবে। এমন আয়োজন মানুষকে সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। আগামী দিনেও আরও বৃহৎ পরিসরে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
অনুষ্ঠানের আয়োজক বিজয়নগর রানার্স কমিউনিটির এডমিন জিয়াউর রহমান রিফাত বলেন, ‘নারীদের অংশগ্রহণ বেশ ইতিবাচক। এবারের আয়োজনে ১০ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার ও ২ কিলোমিটার এই তিনটি ধাপে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা দিয়েছি। বিজয়নগর রানার্স কমিউনিটির পক্ষ থেকে আমরা এ ধরনের ম্যারাথন সবসময় চালু রাখব। আগামী দিনে সুস্থ থাকার জন্য আরও বড় ধরনের আয়োজন করা হবে।
মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় শিশু, বৃদ্ধ, তরুণ- তরুণীসহ মোট ২০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা।
What's Your Reaction?






