ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতের রায় পেয়েও পুকুর দখলে যেতে পারছেন না দুই সহোদর

মাহমুদুল হাসান, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ
Apr 23, 2025 - 18:26
 0  3
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতের রায় পেয়েও পুকুর দখলে যেতে পারছেন না দুই সহোদর

দীর্ঘ সাত বছর ধরে চলা আইনি লড়াই শেষে আদালতের রায় পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের চরনারায়নপুর গ্রামের দুই সহোদর রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলম। তবু পৈত্রিক সূত্রে মালিকানাধীন জমি ও পুকুরে তারা প্রবেশ করতে পারছেন না।

রফিকুল ইসলাম জানান, তার বাবা আব্দুল আজিজ ব্রিন্দাবন শর্মা ও কমলা রঞ্জন চক্রবর্তীর কাছ থেকে ৪৩ শতক জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে সরকারি রাস্তা নির্মাণে ৪ শতক জমি বাদ পড়ে, ফলে বর্তমানে ৩৯ শতক জমির মালিক হন তারা। এসএ ও বিএস রেকর্ডে জমিটি যথাক্রমে ২০ নম্বর খতিয়ান ও ৭০৮ নম্বর দাগে অন্তর্ভুক্ত।

২০১৭ সালে প্রতিবেশী ইউসুফ মিয়া জমিটির মালিকানা দাবি করে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত রফিকুল ও শাহ আলমের পক্ষে রায় দেন। এরপর ইউসুফ মিয়া উচ্চ আদালতে আপিল করলে ২০২৩ সালে উচ্চ আদালতও নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে।

তবু রায় কার্যকর না হওয়ায় এখনো জমিতে প্রবেশ করতে পারছেন না ওই দুই ভাই। রফিকুল ইসলাম বলেন, "ইউসুফ মিয়া আমাদের হুমকি দেন এবং বলছেন, জমিতে ঢুকতে পারব না।" তিনি আরও জানান, ইউসুফ ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে ইউসুফ মিয়া বলেন, "আমি আমার জমি থেকেই মাটি কাটছি। তারা আদালতের রায় পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমি হাইকোর্টে রিট করেছি।"

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন জানান, "আমরা একাধিকবার ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউসুফ মিয়াকে সতর্ক করেছি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।"

মানবাধিকারকর্মীদের অভিযোগ, আইনানুগভাবে রায় পাওয়ার পরও ভুক্তভোগীরা জমির দখল না পেলে তা বিচারব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow