ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক স্থান থেকে দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রাম এবং নাসিরাবাদ ইউনিয়নের বালিয়াহাটি গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিকেলে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রাম থেকে আলোমতি (৬০) নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল হক শেখের স্ত্রী। তাদের ৪ ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরে ফজরের নামাজের জন্য ঘর থেকে বের হন আলোমতির ছেলে ফোরকান শেখের স্ত্রী আদুরী বেগম। তিনি ঘরের পিছনে বাঁশ বাগানে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার শাশুড়িকে দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসে । তারা ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে রশি থেকে নামিয়ে মৃত দেখতে পায়। পরে ভাঙ্গা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরিবারের দাবী তিনি দীর্ঘদিন যাবত মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
অন্যদিকে, ভাঙ্গা থানা পুলিশ শনিবার এনি আক্তার (২২) নামে এক প্রতিবন্ধী নারীর মরদেহ উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের বালিয়াহাটি গ্রামের একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে। তিনি ওই গ্রামের রনি ব্যাপারীর মেয়ে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এনি আক্তার গত ১৫ ই নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বাড়ির লোকজন তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। শনিবার দুপুরে তার মরদেহ বাড়ির সামনে একটি পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। ভাংগা থানা পুলিশ খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে তার লাশ উদ্ধার করে। তিনি মৃগী রোগে ভুগছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা দাবী করেন।
ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান জানান, ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রাম থেকে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, ওই মহিলা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।এছাড়াও ভাঙ্গার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের বালিয়া হাটি এলাকারএকটি পুকুর থেকে এক নারীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ টি পোস্টমর্টেমের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।