মন্দিরে আগুন লাগা এবং পরবর্তী সহিংস ঘটনা নিয়ে ফরিদপুর জেলা সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত 

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি:
Apr 21, 2024 - 00:53
 0  11
মন্দিরে আগুন লাগা এবং পরবর্তী সহিংস ঘটনা নিয়ে ফরিদপুর জেলা সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত 

ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে মধুখালি থানাধীন ডুমাইন ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের পঞ্চপল্লী কালি মন্দিরে আগুন লাগার ঘটনাসহ  পরবর্তী সহিংসতায় দুইজনের মৃত্যু সংক্রান্তে জেলা সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটির এক সভা  অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  ধর্মবিষয়ক মন্ত্রানালয়ের মন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এমপি, অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সচিব মু.আ.হামিদ সিদ্দিক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি বশিরুল আলম, ফরিদপুর-৩ আসনের  সংসদ সদস্য একে আজাদ, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য  ঝর্না হাসান, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোর্শেদ আলম, র‍্যাব ফরিদপুর ক্যাম্প অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার কেএম সাইখ আখতার, বিজিবি'র মেজর বদরুল হুদা, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী বাকাহীদ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ রমা সাহা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইয়াছিন কবীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ ইশতিয়াক আরিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক সাঈদ উদ্দিন সাঈদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডঃ বদিউজ্জামাল বাবুল,ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডাঃ যশোদা জীবন দেবনাথ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর শাহজাহান, ফরিদপুর জেলা ইমাম কল্যান ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা গত ১৮-০৪-২০২৪ তারিখ মধুখালি থানাধীন ডুমাইন ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের পঞ্চপল্লী কালি মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনাসহ  পরবর্তী সহিংসতায় দুইজনের মৃত্যুর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। 
সভায় ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ শুধুমাত্র সন্দেহের বশবর্তী হয়ে দুইজন মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে  উল্লেখ পূর্বক বলেন দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকৃত অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি  খারাপ হতে পারে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় তার বক্তব্যে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি ফরিদপুরে এ ধরনের ঘটনা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্যে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সাথে সমন্বয় করে সভা সমাবেশ করার ব্যবস্থা করতে হবে। আলেম সমাজের নেতৃবৃন্দ এই ঘটনায় দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। পাশাপাশি সনাতন ধর্মের দায়িত্বশীল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ যথাযথ ভূমিকা পালন করেছেন। ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। দোষী ব্যক্তি যে ধর্মের হোক না কেন তাকে কোন ভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের কাছে ধর্ম কোন বিবেচ্য বিষয় নয়, বিবেচ্য বিষয় হলো তার অপরাধ।
ফরিদপুরসহ দেশের কোথাও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে দেওয়া হবে না।
আমাদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে এর পোস্ট দেওয়া এবং অন্যের পোস্টে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যে সতর্ক থাকতে হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow