মাগুরায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণকমিটির সমাবেশ অনুষ্ঠিত
মাগুরায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণকমিটি জেলা শাখার সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে। চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো, বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া এবং পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবিতে এ সমাবেশ করেছে। ১৬অক্টোবর সকাল ১১টায় চৌরঙ্গী মোড়ে মাগুরা জেলা প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন,চাল,ডাল,তেল,ডিমসহ নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া।অসহায় মানুষ আর্তনাদ করছে।
প্রতি কেজি মিনিকেট নামের চাল ৭১-৭২ টাকা,আটাশ ৫৭-৫৮ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকা। ডিমের ডজন এখন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। প্রতিটি ডিম ১৫টাকা। বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি এখন ২১০-২৩০ টাকা। মাছের দামও অনেক বেশি। গরিবের মাছ বলে পরিচিত পাঙাশ ও তেলাপিয়া। সেই পাঙাশ প্রতি কেজি ২৮০-৩০০ আর তেলাপিয়া ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির বাজারেও আগুন। মুলার কেজিও ১০০ টাকা। গাজরের কেজি ১২০ টাকা, বেগুনের কেজি ১৮০ টাকা। সব শেষ ভরসা হিসেবে ব্যবহৃত হয় যে আলু সেটাও এখন ৭০ টাকা কেজি। করলার কেজি ৮০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা-পটোল-ঝিঙার কেজি ৬০-৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা। কোনো তাজা সবজি ৭০-৮০ টাকার নিচে নেই। সবচেয়ে সস্তায় মিলছে শুধু কাঁচা পেঁপে, কেজি ৩০-৪০ টাকা। তাহলে মানুষ কি খাবে? অবিলম্বে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে, নিত্যপণ্যের দাম কমাতে হবে।ছাত্র জনতার অনেক আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই গণঅভ্যুত্থান। ব্যবস্থার বদল না হলে গণমানুষের বৈষম্যবিরোধী সেই আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণই থেকে যাবে।
গণকমিটির আহবায়ক এটিএম মহব্বত আলীর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব প্রকৌশলী শম্পা বসুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,গণকমিটি মাগুরা জেলার যুগ্ম-আহবায়ক শিক্ষাবিদ কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ,অন্যতম সদস্য মশিউর রহমান ও বাসারুল হায়দার বাচ্চু।সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,মাগুরা পৌরসভায় আধুনিক কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। জলাবদ্ধতা দূর করতে পৌর কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।সমাবেশ থেকে অবিলম্বে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম ভেঙে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো, মজুতদার ও মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ীদের শাস্তি এবং নিম্নবিত্তদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানানো হয়।
What's Your Reaction?