মাতৃহারা ১০ দিনের শিশু পরিবারকে সহায়তা দিল প্রশাসন
বান্দরবানের থানচি উপজেলা মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা অবস্থানরত রেমাক্রী ইউনিয়নের মালুংগ্যা পাড়া মাতৃহারা ১০ দিন বয়সের শিশুকে লালন পালনের জন্য নগদ ২০ হাজার টাকাসহ শিশু খাদ্য কাপর চোপরসহ অনুসাংঙ্গিক ব্যবহারিক দ্রব্য দিল ইউএনও মুহাম্মদ আছিফ উদ্দীন মিয়া। বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টা প্রশাসনিক কার্যালয়ের শিশুটি পিতা আছোমং মারমা হাতে তুলে দিয়েছেন।
জানা গেচ্ছে, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শুক্রবার সকালে শিশুটি মা দুই জোরা জমস সন্তান জন্মগ্রহন করেন। শিশুটির মা ও অপর জমস বোন জন্মের পর পর পুষ্ঠি খাদ্য অভাবে মারা যান।
শিশুটি জন্মের পর থেকে মা ও বোন হারান । একই সময়ের মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষায় রেমাক্রী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে দুর্গম মালুংগ্যা পাড়া। শিশুটিকে মৃত মায়ের বড় বোন খালা ক্রইসাংপ্রু মারমা ৪৫ হরিনের দুধ খাওয়াইয়ে বাঁচিয়ে রাখেন।
মাতৃহারা শিশুটি কে দুধ ও মাতৃস্নেহ দিয়ে বাঁচাবে কে? শিরোনামে বিভিন্ন গনমাধ্যমের সংবাদ প্রকাশিত হলে স্থানীয় প্রশাসনের নজরে পড়েন এবং আমলে নেন।
প্রশাসনের নির্দেশে রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে মেম্বার মাংচন ম্রো ঘটনাস্থল হতে গতকাল মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টা নিয়ে আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স'র ভর্তি করেন।
মাংচন মেম্বার বলেন,থানচি সদর থেকে ম্রংগং যেতে ইঞ্জিন বোটের দুই দিন সময় লাগে। আমাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মুহাম্মদ আছিফ উদ্দীন মিয়া নির্দেশ দিলে আমি শিশু ও তার বাবা খালা- খালুকে থানচি সদরে নিয়ে আসি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স'র স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ,আবাসিক চিকিৎসক ডা: আবদুল্লাহ আল নোমান নিবির পর্যবেক্ষনের পর শিশুটিকে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহন করানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মুহাম্মদ আছীফ উদ্দিন মিয়া বলেন, ভবিষ্যতে যেকোন প্রয়োজনে সার্বিক সহযোগিতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। আমি প্রশাসনিকভাবে সম্ভবনুসারে শিশুটি পরিবারকে সার্বিক সহযোগী হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা ও খাদ্য হিসেবে দুধ ও খাদ্য সামগ্রী সহযোগীতা দিয়েছি।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, শিশুটি মায়ের দুধ অভাবে ১.৭ ওজন হয়েছে। অনেক দুর্বল শরীরে অবস্থা তাঁকে বাঁচানোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসহ চিকিৎসা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সুস্থ হলে ফেরত পাঠাবো।
What's Your Reaction?