মিঠাপুকুরে আলোচিত রুহুল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার ও বিরামপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় মিঠাপুকুর থানার মামলা নাম্বার ০৪/০৭/১৯৮৬ ৩০২/৩৪ দঃ বিধি ধারায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হন আব্দুস সালাম। সাজা হওয়ার পর থেকে উক্ত আব্দুস সালাম গত ৩৩ বৎসর গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে ছিলেন। অবশেষে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে পারলেন না, ৩৩ বৎসর পর সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুস সালাম কে থানা পুলিশের চৌকস টিম প্রেমপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করেছেন। সহকারী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল), মিঠাপুকুর পীরগঞ্জের সার্বিক নির্দেশনায় ও অফিসার ইনচার্জ মিঠাপুকুর থানা, রংপুর তত্ত্বাবধানে চৌকস পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত নুর আলম সরকারের নেতৃত্বে এএসআই মোস্তাফিজুর রহমান, এএসআই জাফর আহমেদ, এএসআই জ্যোতিষ চন্দ্র রায় ও বিরামপুর থানা পুলিশের একটি টিমসহ মিঠাপুকুর থানার মামলা নম্বর ০৩ তারিখ -০৪/০৭/১৯৮৬ আলোচিত রুহুল হত্যা মামলায় ৩ নং আসামি আব্দুস সালাম। দীর্ঘ ৩৩ বছরের পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আব্দুস ছালাম, পিতা- বশির উদ্দিন, গ্রাম-আকবপুর,থানা মিঠাপুকুর, জেলা রংপুরকে গ্রেপ্তার করেন।
উল্লেখ্য পলাতক যাবজ্জীবন সজাপ্রাপ্ত আসামি দীর্ঘদিন থেকে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার অন্তর্গত খানপুর ইউনিশনের নটকুমারী গ্রামে দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছিলেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত আনুমান দশটায় গ্রেফতার করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিঠাপুকুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, মিঠাপুকুর উপজেলার ১৪ নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের নয়ানী ফরিদপুর গ্রামের মৃত রজব উদ্দিনের দ্বিতীয় পুত্র রুহুল আমিন কে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজা হয়, আর সেই সাজার ভয়ে পালিয়ে যাবজ্জীবন সাজা মাথায় নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে আত্মগোপনে ছিলেন। আমরা আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করার বদ্ধপরিকর তারই নিমিত্তে উক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের মিঠাপুকুর থানার একাধিক গোয়েন্দা টিম কাজ করে। সেখানে দেখা যায় উক্ত ব্যক্তি দিনাজপুরে অবস্থান করছিল, আমরা আরো সঠিক যাচাই-বাছাই করে তার ঠিকানা নির্ধারণ করে আদালতে আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্তে তাকে দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করি। আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
What's Your Reaction?