শিবচরে সংবাদ প্রচারের জেরে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা

মাদারীপুরের শিবচরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশের জেরে গ্লোবাল টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি এম এ কাইয়ুমের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। রবিবার (২০ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে শিবচর উপজেলার মাদবরের চর এলাকার চিতাখোলা নামক স্থানে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সাংবাদিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর ছবি সংবলিত একটি ব্যানার সম্প্রতি শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর গার্লস স্কুলের সামনে টানানো হয়। সেটি নিচু জায়গায় টানানো থাকায় পথচারীরা এতে ধাক্কা খাচ্ছিলেন। সেই দৃশ্য ধারণ করে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) নিজের ফেসবুক আইডিতে ভিডিও আকারে পোস্ট করেন সাংবাদিক এম এ কাইয়ুম।
এই পোস্টকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে রুবেল মুন্সির নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত পূর্বপরিকল্পিতভাবে কাইয়ুমের উপর হামলা চালায় এবং তাকে কিছু সময়ের জন্য অবরুদ্ধ করে রাখে। তার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, “খবর পাওয়ার পর আমি নিজেই ঘটনাস্থলে যাই এবং আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
এ ঘটনায় শিবচর ও মাদারীপুরের কর্মরত সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকী বলেন, “সমর্থক হওয়া বড় কথা নয়, কেউ অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। আমি একজন সোজাসাপ্টা মানুষ, বিশৃঙ্খলতা পছন্দ করি না।”
এদিকে অভিযুক্ত শিবচর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল মুন্সির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক এম এ কাইয়ুম বলেন, “আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। এরইমধ্যে আমি থানায় মামলা দায়েরের জন্য এসেছি।”
What's Your Reaction?






