সদরপুরে জাটকা শিকারের দায়ে ১০জেলের জরিমানা, ২জনের কারাদণ্ড
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা শিকার করায় ১২জেলেকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত।
আটককৃত এর মধ্যে ১০জেলেকে ১হাজার টাকা করে জরিমানা ও ২ জেলেকে ১মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। জরিমানাকৃত জেলেরা হলেন, সাম বিশ্বাস, মধু বিশ্বাস, কালিপদ, বিদ্যুৎ বিশ্বাস, বাবেল, মিজান বিশ্বাস, পবিত্র, চিরঞ্জিত সরকার, কৃষ্ণ বিশ্বাস, নিমাই সরকার জেলে নৌকায় শ্রমিক থাকায় তাদের মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ৫(১) ধারায় প্রত্যেক কে এক হাজার টাকা ও মৎস সংরক্ষণ আইন ১৮৬০ এর ১৮৮ধারায় মহাজন গৌরঙ্গ সরকার ও সুশান্ত সরকার কে ১মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। এসব জেলেদের বাড়ি গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী। রবিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যারাত পর্যন্ত উপজেলার পদ্মা- আড়িয়াল খাঁ নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব জেলেকে জাটকা ধরার সময় হাতেনাতে আটক করা হয়।
অভিযানকালে অসাধু জেলেদের নিকট থেকে ৬মন জাটকা ও ঝাটকা শিকারের কয়েকটি অবৈধ জাল জব্দ করা হয়।
অভিযানে সহায়তা করেন সদরপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম জাহাঙ্গীর করিব। আদালত শেষে জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। জব্দকৃত জাটকা উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানার মাঝে বিতরণ করা হয়।
জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় ১ নভেম্বর থেকে ৩০জুন ২০২৪ পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকা থেকে জাটকা আহরন,পরিবহন, মজুদ বাজারজাতকরণ,ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদের জরিমানা বা কারাদন্ডের উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বলেন, অবৈধ মৎস্য শিকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
What's Your Reaction?