সালথায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে নববধূর অনশন স্বামী পলাতক
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পূর্ব ফুলবাড়িয়া গ্রামে স্ত্রীর স্বকৃীতর দাবিতে এক নববধূর অনশন চলছে। ওই নববধূর উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়েছে স্বামীর বাড়ির লোকজন। এসময় প্রতিবেশির উৎসুক লোকজন বাড়িতে ভিড় জমাতে দেখা গেছে। নববধূ নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন। এর আগে ওই নির্যাতিত বধু স্বামী ভরনপোষণ দেয় না, এবং স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্বামীর বাড়িতে অনশন করে চলেছেন ওই নববধু।
নববধুর পরিবার ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বল্লভদী ইউনিয়নের পূর্ব ফুলবাড়ীয়া গ্রামের দুলাল শেখ এর ছেলে নিশাত শেখ পাশ্ববর্তী সোনাপুর ইউনিয়নের চান্দাখোলা গ্রামের সিদ্দিক সর্দারের মেয়ে মোর্শেদা খানমের সাথে দীর্ঘ নয় মাসের প্রেম। এই সম্পর্কের জেরে অভিভাবক ছাড়াই গত ৯ এপ্রিল বিবাহ করেন ওই প্রেমিক। বাসররাত কাটিয়েই পলাতক হন স্বামী নিশাত। পরবর্তীতে আর ওই মেয়ের সাথে কোন যোগাযোগ না রাখায় বুধবার সকালে ওই স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নেয় নববধু স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে।
নববধু মোর্শেদা খানম জানায়, নিশাতের সাথে আমার ফেইসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক । দীর্ঘ নয় মাস যাতব তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। আমাদের বাড়িতে সে যাওয়া আসা করতো নিয়মিত। গত ৯ এপ্রিল তার সম্মতিতে আমাদের বাড়িতে আমাদের বিয়ে হয়। সে আমার সাথে ওই রাত্রি যাপন করে সকালে পালিয়ে চলে আসে, পরে গত এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও আমার সাথে বা আমার পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। এজন্য আমার স্বামীর বাড়িতে আজ চলে এসেছি। আমি এখানে আসলে বাড়ির সবাই পালিয়েছে। আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় নেই।
এদিকে ভুক্তভোগী ওই মোর্শেদার ভাই ইয়াসিন বলেন, নিশাতের সাথে আমার বোনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো, নিয়মিত যাতায়াত ছিলো আমাদের বাড়িতে, আমরা পরিবার থেকে নিষেধ করেও তাকে ধমাতে পারিনি। গত ৯ এপ্রিল নিশাতের সম্মতিতে ওর এলাকার মেম্বারের ভাতিজা আনোয়ার কাজী কে জানিয়ে আমরা বিয়ে দিয়েছি। এখন আমার বোনকে সে আর বাড়িতে নিচ্ছে না, কোন যোগাযোগ ও করছে না। এই অবস্থায় আমরা এখন করবো।
সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিচুর রহমান বালী বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না, আপনাদের মাধ্যমে জানলাম বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
What's Your Reaction?