সিমান্তে শতাধিক পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে খাদ্য মজুদ হয়েছে

থানচি(বান্দরবান)প্রতিনিধি
Sep 3, 2024 - 17:08
 0  4
সিমান্তে শতাধিক পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে খাদ্য মজুদ হয়েছে

বান্দরবান জেলা প্রশাসক ও থানচি উপজেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে দুর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তরে ত্রাণ ভান্ডার হতে  বান্দরবানে থানচি উপজেলা খাদ্য সংকটে বাঁশ কোড়ুল খেয়ে বেচে থাকায় ম্রো ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ১০০ পরিবারের জন্য জরুরী খাদ্য সামগ্রী মধ্যে প্রতি পরিবারের চাল ২০ কেজি,ডাল ২ কেজি, তৈল ২ লিটার,লবন ২ কেজি করে থানচি বাজার নদীর ঘাট হতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বার মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া ও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ম্রো ছাত্র সংগঠন, লামা উপজেলা উগ্যথোয়াই স্বেচ্ছা সেবী সংগঠন প্রতি পরিবারের জন্য ৩০ কেজি চাল, ৫ কেজি ডাল, ৫ লিটার তৈল, ৫ কেজি নাপি, ৫ কেজি লবনসহ অসুস্থদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পানির বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট, সাধারণ জ্বর,পেট বেঠাসহ পর্যাপ্ত পরিমানে ঔষধ তাদের হাতে তুলে দিয়েছে। সংকট ও বাঁশ কোড়ল খেয়ে বেঁচে থাকায় শতাধিক পরিবারের মাঝে গত এক সপ্তাহের বিতরণ সম্পন্ন করেছে বলে মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

 উপজেলা প্রশাসনসহ স্বেচ্ছা সেবী সংগঠন সমূহের খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বার, পাড়ার প্রধান কারবারী, বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শেষে রেমাক্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা রনি অভিজ্ঞতা কথা সাংবাদিকদের বলেন,আমাদের ইউনিয়নের মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা দুর্গম বুলু ম্রো পাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে প্রায় শতাধিক পরিবার গত বছরে আবাহওয়া অনুকুলে থাকায় জুমের ধান ভালো ফলন হয় নি।  সে সুবাদের চলতি বছরে বর্ষা শুরুতে জুমের ধান পরিপক্ক হওয়ার পর্যন্ত পরিচর্চা কাজে ব্যস্ত থাকার সময় ঔ সব পরিবারের মাঝে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেওয়ায় এ অবস্থা সৃস্টি হয়েছে। দুর্গম ও মোবাইল নেট ওয়ার্ক না থাকায় আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের কর্তব্যরত জনপ্রতিনিধিরা সময় মতো জানতে পারেনি। আমরা হঠাৎ করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি সুতারাং জানার পর আমরা প্রশাসনকে অবহিত করা হলে এ ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
যোগাযোগ করা হলে মেনহাত ম্রো কারবারী ও বুলু ম্রো কারবারী বলেন,আমরা জুমের অপরিপক্ক ধানকে পরিপক্ক করার জন্য পরিবারের সকলের নিয়ে জুমের পরিচর্চা কাজের ব্যস্ত ছিলাম হঠাৎ করে থানচি উপজেলার প্রেস ক্লাবের সভাপতি মংবোওয়াংচিং মারমা অনুপম আমাদের গ্রামে পৌছালে তাকে অবহিত করি। তিনি চলে যাওয়ার একদিন পর চেয়ারম্যান মেম্বার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছা সেবী সংগঠনের কর্মকর্তারা আমাদের সহায়তা দিতে আসে। এখন আমরা বাঁশ কোড়ল বদলে পরিশুদ্ধ ভাত খেতে পারছি। যে পরিমান পেয়েছে জুমের ধান পরিপক্কর হওয়ার পর্যন্ত টিকে থাকার সম্ভাবনা আছে। 
 উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, গত ২৬ তারিখে "খাদ্যাভাবে বাঁশ কোড়ল খেয়ে শতাধিক পরিবারে জীবনযাপন" "খাবারের অভাবে কাঁদছে বান্দরবানের দুর্গম কয়েকটি পাড়ার শিশুরা" শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকাগুলিতে সংবাদটি প্রকাশিত হলে সরকারের উর্ধতম কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব সাথে নজরে আনে।
থানচিতে দুর্গম এলাকাগুলো নেটওর্য়াক না থাকার আমরা সব খবর ও পায়নি। তারপর ও স্থানীয় সাংবাদিকদের  মাধ্যমে জানতে পেরেছি এবং সঙ্গে সঙ্গে আমি জনপ্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করে খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সিদান্ত নিয়েছি, উপজেলা প্রশাসন ও বর্তমান সরকারের আমলে কেউ না খেয়ে মরবে না এবং না খেয়ে থাকবে ন। সীমান্তে সকল পরিবারকে আসন্ন জুমের ধান কাটার পর্যন্ত তাদের খাদ্য এবং শিশুদের চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ তাদের নাগরিক সেবা দিতে সর্বদায় প্রস্তুত তবে আপাতত  অসহায় পরিবার গুলোর জন্য আসন্ন জুমের ধান কাটা পর্যন্ত  খাদ্য মজুদ হয়েছে।

 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow