সুদি কারবারে হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ
দাদন ব্যবসায়ী নুরু মিয়ার কাছ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে ৪০হাজার টাকা সুদ হিসেবে নেন সাবলু মিয়া। সেই টাকা সুদে-আসলে দাঁড়ায় দেড় লক্ষ টাকা। সাবলু মিয়া দেড় লক্ষ টাকা পরিশোধ করার পরও আরও ২০হাজার টাকা দাবি করেন নুরু মিয়া। নুরু মিয়ার চাপে চলতি মাসের ১৫তারিখে দাবিকৃত টাকা দিতে চেয়েছিল সাবলু। কিন্তু তার আগেই পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করে বাম হাত ভেঙে দেওয়াসহ ৫০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পীরগাছা থানা ওসি বরাবরে মঙ্গলবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাবলু মিয়া। সাবলু মিয়া ওই ইউনিয়নের হাসনা গ্রামের বুদ্ধি শেখের ছেলে।
তিনি অভিযোগে করে বলেন, নুরুর সুদের টাকা পরিশোধ করার পরেও তিনি আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় চাপপ্রয়োগ করে ২০হাজার টাকা দাবি করেন। তার চাপে বিশ হাজার টাকা দিয়ে চেয়েছি এই মাসে। কিন্তু তার আগেই নুরু মিয়াসহ ওই ইউনিয়নের বড় হায়াত খাঁ গ্রামের জয়নালের ছেলে নুরু, জামালের ছেলে দেলোয়ার, সরকারের ছেলে জামাল, নুরু মিয়ার ছেলে জিহাদ, গঙ্গানারায়ন গ্রামের একাব্বর পানাতির ছেলে হায়দার মিলে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থানীয় টিএমএসএস এনজিও থেকে ৫০হাজার টাকা ঋণ উত্তোলণ করে বাড়ি ফেরার পথে দামুরচাকলায় আক্রমণ করে বাম হাত ভেঙে ফেলে। এসময় তার স্ত্রী খাদিজা বেগম তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিঁড়ে নেন অভিযুক্তরা। আহত অবস্থায় সাবলুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয় এবং চিকিৎসকের এক্সরের রিপোর্ট অনুযায়ী তার বাম হাতের কব্জি ভেঙে গেছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
অভিযুক্তদের মধ্যে দেলোয়ারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় দামুরচাকলা টিএমএসএস এনজিও থেকে সাবলু মিয়া ৫০হাজার টাকা সোমবারে উত্তোলণ করেছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে শাখা ব্যবস্থাপক শাহজালাল সাবলু মিয়া ৫০হাজার টাকা সোমবারে উত্তোলণ
পীরগাছা থানা ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
What's Your Reaction?