ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে ও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে ছিলো পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোভাযাত্রা, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা। এর আগে মোমবাতি জ্বালিয়ে শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে আখাউড়া মুক্ত হয়। গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পালিত হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ছাড়াও শুক্রবার উপজেলা প্রশাসন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করা হয়।
সকাল সাড়ে নয়টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচির শুরু হয়। পরে উপজেলা পরিষদ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে পোস্ট অফিসের সামনে শেষ হয়। সেখানে জাতীয় সঙ্গীতের সুরে পতাকা উঠানো হয়। উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, বিএনপি, জামায়াত, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে পোস্ট অফিসের সামনেই জাতীয় পতাকা উঠানো হয়েছিলো।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন খান স্বাধীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আখউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ সজিব মিয়া, আখাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জয়নাল আবেদীন আব্দু, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ছমিউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ জমশেদ শাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, প্রেস ক্লাব সভাপতি মোঃ মানিক মিয়া, জামায়াত ইসলামের আমীর মোঃ ইকবাল হোসেন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ডাঃ এনামুল হক মামুন। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মোঃ জালাল হোসেন মামুনের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের প্রধান উপদেষ্টা দীপংকর ঘোষ নয়ন। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন থেকে তেলেওয়াত ও গীতা থেকে পাঠ করা হয়।