আগামীকাল থেকে যদি কারো ঘরে দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়, তবে তার অবস্থা হবে ভয়াবহ--সি: সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল

আজিজ রহমান,সালথা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি
Apr 18, 2024 - 21:33
Apr 18, 2024 - 21:35
 0  88
আগামীকাল থেকে যদি কারো ঘরে দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়, তবে তার অবস্থা হবে ভয়াবহ--সি: সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল

ফরিদপুরের সালথায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাইজা নিরসনে জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের সাথে সালথা থানা পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে সালথা থানা পুলিশের আয়োজনে থানার সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সালথা-নগরকান্দা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল। 

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিচুর রহমান বালী। 

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সেলিম মোল্লা, রামকান্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইশারত হোসেন, সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু, আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল হাসান খান সোহাগ প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় মোড়লরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের সদস্যবৃন্দসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রধান বক্তার বক্তব্যে ফরিদপুর সি: সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, আপনারা সবাই এই কাইজা থেকে বেড়িয়ে আসুন। আমাদের বার্তা অনুযায়ী আগামীকাল শুক্রবার(১৯ এপ্রিল) বিকাল ৪টার মধ্যে আমাদের কাছে আপনাদের যে সকল দেশীয় অস্ত্র আছে সেগুলো জমা দিয়ে দিবেন। যদি কেউ অস্ত্র জমা না দেন কারো কাছে পরবর্তীতে অস্ত্র পেলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। এটার ফলাফল যদি নাই পাই আপনারাই তিন চারদিনের মধ্যেই সেটি দেখতে পারবেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিসুর রহমান বালী বলেন, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র আছে সেটি জমাদেন তাহলে সামনে শান্তি বিরাজ করবে। সালথায় পরবর্তীদিন গুলোতে শান্তি বিরাজ করবে কিনা সেটা আপনারাই এখানে যে কয়জন আছেন তারাই এখানে বসে নিতে পারেন। এখানে যে সিদ্ধান্ত নিলেন তাহলে সালথা শান্তিপূর্ণ থাকবে। আমরা চাই প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়নের যিনি চেয়ারম্যান তিনিই ওই ইউনিয়ন আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি এবং যারা মেম্বার তার আইন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য। অতএব আপনারা আপনাদের দায় এড়াতে পারবেন না। আপনার ইউনিয়নের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় কি ভুমিকা আছে সে আমরা দেখতে চাই। আশা করি প্রতিটি ইউনিয়নে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবেন সেটা সার্বক্ষণিকভাবে উৎসাহ প্রদান ও শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণে উভয় ক্ষেত্রে আমাদের পাশে পাবেন। তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে আমাদের আরও পদক্ষেপ থাকবে আমরা অন দা স্পট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব। শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নে যে অস্ত্রসহ আটক হবে তার বিচার ওই স্পটেই হবে এবং সেখানেই তার শাস্তি ঘোষণা হবে। 

সভাটি সঞ্চালনা করেন সালথা থানার এসআই শফিকুল ইসলাম। 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow