আগৈলঝাড়ায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত হাসানকে অর্থ প্রদান

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈল ইউনিয়নের কালুপাড়ায়'ওয়াই.এস.হিউম্যনিটারিয়ান অর্গানাইজেশন'-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাছির উদ্দিনের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রি ও নগদ টাকা প্রদান করছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পুলিশে গুলিতে গুরুতর আহত মো. হাসান সরদার গৈলা ইউনিয়নের পতিহার গ্রামের মৃত মানিক সরদারের ছেলে মো. হাসান সরদার। দুই ভাই আর এক বোনের মধ্যে সে সবার বড় হাসান। পিতার মৃতুর পরথেকে হাসারের আয়ে চলতো কলেজ পড়ুয়া দুই ভাইবোনের পড়াসুনা সহ পরিবার। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ঢাকা যোগদিয়ে পুলিশে গুলিতে গুরুতর আহত হাসান সরদার। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পারে তার অবস্থা একটু উন্নতি হয়েছে। ডাক্তার বলছে এখন তার চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব না।আহত মো. হাসান সরদারের মা নূরজাহান বেগম বলেন, আমাদের ঘরে খাবার নেই। ছেলে-মেয়ের কলেজের লেখাপড়ার খরচ নাই। তাদের লেখা পড়া বন্ধের পথে। হাসান শরীরের অনেক গুলি রয়েছে যন্ত্রণায় রাতে ঘুমাতে পারে না। ডাক্তার বলেছে তাকে ভালো খাবার খাওয়াতে কিন্তু তাকে একটি ডিমও খাওয়াতে পারি না।'ওয়াই.এস.হিউম্যনিটারিয়ান অর্গানাইজেশন' আজ আমার বাড়ি এসে চাল, আটাসহ খাবার ও নগদ টাকা দিয়েছে। আমি এই টাকা দিয়ে ভালো কিছু খাওয়াতে পারবো আমার ছেলেকে।আহত মো. হাসান সরদার বলেন, আমি ঢাকার রামপুরা ব্রিজের সামনে ১৮ জুলাই পুলিশের গুলি পায়ে লেগে আহত হই। পুলিশের ভয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারি নাই। একটু সুস্থ হয়ে ৫ আগস্ট আবার আন্দোলনে যাই। ওইদিন আন্দোলনে গিয়ে বাড্ডা ব্র্যাক ইউনির্ভাসিটির সামনে আমার ডান হাতে, পাজরে এবং মুখমন্ডলে পুলিশের ছোড়া কয়েকশ’ গুলি লাগে। পঙ্গু হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরে সাভার সিআরপিতে থেরাপি দিয়ে বাড়ি চলে আসি। চিকিৎসকরা বলেছেন, আমার শরীরে যে গুলি রয়েছে তা বাংলাদেশে অপারেশন করে বের করা সম্ভব হবেনা। আমার হাতে ও শরীরে প্রায় ৪শ’ গুলি রয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়াই.এস.হিউম্যনিটারিয়ান অর্গানাইজেশনের সহ-সভাপতি মো.আনোয়ার জাহিদ আলো, কোষাধ্যক্ষ মো.ফরহাদ হোসেন, আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি মো.মাহবুবুল ইসলাম,সহ প্রমুখ।
What's Your Reaction?






