আগৈলঝাড়ায় মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার হাত ভাঙার অভিযোগ

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ওই নেতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত শুক্রবার (২২ মার্চ) জুমার নামাজ শেষে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের জবসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তি সোহেল পাইক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা মঈন পাইক আগৈলঝাড়া সরকারি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজের ছাত্রদলের সদস্যসচিব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে মসজিদের নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা করছিলেন মুসল্লিরা। এ সময় মো. হাফিজুর রহমান চাঁনকে সভাপতি ও ইঞ্জিনিয়ার মো. শহিদুল ইসলাম পাইককে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে একটি প্রস্তাব জমা দেন স্থানীয় বাসিন্দা জাকির পাইক। তবে এতে সোহেল পাইকসহ কয়েকজন আপত্তি জানান।
বিতর্কের একপর্যায়ে মসজিদের ভেতরে হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রদল নেতা মঈন পাইকের নেতৃত্বে ৫-৬ জনের একটি দল জি আই পাইপ দিয়ে সোহেল পাইকের ওপর হামলা চালায়। এতে তাঁর ডান হাত ভেঙে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত সোহেল পাইক বলেন, ‘মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মঈন পাইক জি আই পাইপ দিয়ে আমাকে পিটিয়েছে, এতে আমার হাত ভেঙে গেছে।’
তবে অভিযুক্ত মঈন পাইককে পাওয়া না গেলেও তাঁর বাবা জাকির পাইক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি দাবি করেন, ‘আমার ছেলে সোহেল পাইকের ওপর হামলা করেনি। মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় পড়ে গিয়ে তাঁর হাত ভেঙে গেছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. অলিউল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। আহত ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
What's Your Reaction?






