আত্রাইয়ে নির্বচনী সহিংসতায় আহত ৪, আটক ৮
নওগাঁর আত্রাইয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় ৪ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৮জনকে গ্রেফতার করে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। ঘটনাটি গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭.৪৫ মিনিট বলে এজাহারে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই সময়ে উপজেলার জয়সাড়া গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ এবাদুর রহমানের (কৈ মাছ প্রতীক) ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মমতাজ বেগমের (কাঁপপিরিচ প্রতীক) লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়। এতে দীঘা গ্রামের মনিরুজ্জামান রণি (৩৮), শহিদুল ইসলাম শহিদ (৬২), ক্যাশবপাড়া গ্রামের উজ্জল (৫০) ও মধ্যবোয়ালিয়া গ্রামের জিহাদ (২৫) আহত হন। আহতদের মধ্য মনিরুজ্জামান রণিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী এবাদুর রহমানের ভাই সাজেদুর রহমান বাদি হয়ে আত্রাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আত্রাই থানার ওসি (তদন্ত) লুৎফর রহমান বলেন, সাদা রংয়ের কার গাড়ীতে করে মানুষ অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার সামনে চেকপোষ্ট বসিয়ে কার গাড়ীসহ ৮ জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তবে গাড়ীতে কোন অপহরণকারী ব্যাক্তি পাওয়া যায়নি। পরে সাজেদুর রহমান বাদি হয়ে নির্বাচনী কাজে বাধা ও মারধরের অভিযোগ করলে তাদের আটক দেখানো হয়। আটককৃত রাব্বি হোসেন, শহীদ হোসেন, আশিক হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, রফিক হোসেন, মোজাফ্ফর হোসেন, হাফিজ ও শহীদকে গতকাল শনিবার নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এলাকার সার্বিক আইন শৃঙখলা পরিস্থিতি বজায়ে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে কাপপিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মমতাজ বেগমের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনার পর তার পুত্রবধূ কামনা আক্তারকে (২৮) প্রহার করে আহত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তারাও একটি লিখিত অভিযোগ থানায় দায়ের করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
What's Your Reaction?