আত্রাইয়ে নির্মাণাধীন ব্রিজের বিকল্প একমাত্র রাস্তা ডুবে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে
নওগাঁর আত্রাইয়ে নির্মাণাধীন ব্রিজের বিকল্প রাস্তাটি বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ চলাচলের ক্ষেত্রে এখন নৌকায় একমাত্র নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
উপজেলার শাহাগােলা-মির্জাপুর পাকা সড়কের তারাটিয়া নামক স্থানে রতন ডারার খালের উপর একটি ব্রিজ ছিল। ব্রিজটি জরাজীর্ণ হওয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) হতে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হয়। সে অনুযায়ী প্রায় তিন মাস পূর্বে ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়। এদিকে ব্রিজ ভাঙার পর জনসাধারণের চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তা এবং ডারার উপর একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করা হলেও সাঁকোটি খুবই নিচু করে তৈরি করায় সম্প্রতি ডারার পানি বৃদ্ধি পেতে না পেতেই সাঁকোটি পানির নিচে তলিয়ে যায়।
ফলে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া, শ্রীরামপুর, কয়সা, তারাটিয়া বড়ডাঙ্গা, ছোটডাঙ্গাসহ বেশ কয়েক গ্রামের শাহাগােলা হয়ে উপজেলা ও জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের জন্য এ সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। ফলে এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়া সত্বেও বিকল্প রাস্তার সাঁকোটি অপরিকল্পিতভাবে নিচু করে তৈরি করায় এলাকার জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শেখ তারাটিয়া গ্রামের ডিএস জাহিদ, শ্রীরামপুর গ্রামের নয়ন, কয়সা গ্রামের আসলামসহ অনেকেই বলেন, ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে বিকল্প রাস্তাটি যেমন তেমন করে তৈরি করায় ডারার পানি বৃদ্ধি পেতে না পেতেই রাস্তাটি ডুবে গেছে। রাস্তাটি ডুবে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইমরান খান বলেন, বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিকল্প রাস্তাটি ডুবে গেছে। সেখানে নৌকা দিয়ে যাত্রী পারাপারের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। পানি কমে গেলে উঁচু করে রাস্তা এবং সাঁকো তৈরি করা হবে।
What's Your Reaction?