আত্রাইয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম,নেপথ্যে কারণ কি?

মজিদ মল্লিক, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:
Apr 14, 2024 - 22:17
Apr 14, 2024 - 22:18
 0  18
আত্রাইয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম,নেপথ্যে কারণ কি?

নওগাঁর আত্রাইয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম।  গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে  প্রতিকেজি গোল আলুর দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। ৩০ টাকা কেজি দরের কাঠিলাল (লম্বা) আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর ৪০ টাকা কেজি দরের গোল আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। হঠাৎ করে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। 

আত্রাইয়ের মির্জাপুর  বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, আলুর দাম বাড়ার কোনো কারণ তারা খুঁজে পাচ্ছেন না। তাদের অভিযোগ, আলু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগে থেকে বাজারে আলুর সরবরাহ অনেকটা কমে গেছে। কৃষকের ঘরে আলুর মজুদও ফুরিয়ে আসছে। তাই সরবরাহ কমেছে বাজারে।  

সাহেবগঞ্জ বাজারে আলু কিনতে এসেছেন ঢাকা থেকে বাড়িতে ঈদ করতে আসা মো.রমজান। তিনি বলেন,আমি ঢাকাতে যে দামে আলু কিনেছি এখানেও সেই দামেই আলু কিনলাম। ভেবেছিলাম আত্রাইয়ে হয়তো আলুর দাম কিছুটা কম হবে। কিন্তু না। দাম প্রায় একই রকম। ৬০ টাকা কেজির নিচে কোনো আলু বাজারে নেই। কয়েকদিন ছুটিতে বাড়িতে থাকবো। তাই একবারে ৩ কেজি  আলু কিনলাম।

শ্রমজীবি মো. সমজান আলী বলেন, ‘আমাদের পক্ষে তো আর গরুর গোশত কেনা সম্ভব হয় না।তাই মাঝেমধ্যে ব্রয়লার মুরগি কিনে গোশতের চাহিদা মেটাই। এবার ঈদের দিন ব্রয়লার কিনতে গিয়ে দেখি এক সপ্তাহ আগে যে ব্রয়লার ছিল ১৮০ টাকা কেজি, গতকাল রবিবার (১৪ এপ্রিল) সেই ব্রয়লার ২২০ টাকা কেজি। ভেবেছিলাম দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের একটি ব্রয়লার কিনবো। কিন্তু দাম বেশির কারণে তা আর হলো না। শেষে দেড় কেজি ওজনের একটি ব্রয়লার নিয়ে বাড়ি ফিরছি সঙ্গে ৬৫ টাকা দিয়ে ১ কেজি আলু কিনেছি মাংশ দিয়ে খাবো।

ভবানীপুর হাটে পাইকরি আলু বিক্রেতা মো.নয়ন হোসেন বলেন, ‘ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই কেন যেন বাজারে আলু সরবরাহ কমে গেছে। তাই দামও বেড়েছে। যে কাঠিলাল আলু ৩২ টাকা কেজি দরে কিনে খুচরা বিক্রেতরাদের কাছে ৩৫ টাকায় বিক্রি করেছিলাম, সেই আলু এখন কিনতেই পড়ছে ৪৫ টাকা। গোল দেশীয় আলুর দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতাম ৪২-৪৫ টাকায়। এখন কিনতেই পড়ছে ৫৮-৬০ টাকা। আর খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। 

জাতপাড়া গ্রামের আলু বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি শনিবার হাটে ভবানীপুর হাটে ২ মন দেশীয় গোল আলু পাইকারি ব্যবসাীর কাছে বিক্রয় করেছি মন প্রতি ২৪ শত টাকা যাহা ৬০ টাকা কেজি দরে। তিনি আরো জানান ঈদের কারনে বাজারে আলুর সরবরাহ কম থাকায় হয়তো এমন দামে আলু বিক্রয় করতে পারলাম। 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow