আদিতমারী থানার ধর্ষণ মামলার আসামী কক্সবাজারে গ্রেফতার
লালমনিরহাটের আদিতমারী থানার ধর্ষণ মামলা আসামী ইসরাউল হক রানাকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে আদিতমারী থানা পুলিশ। পুলিশ সুপার লালমনিরহাট সাইফুল ইসলাম দিকনির্দেশনায় আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ উন নবী, নেতৃত্বে আসামিকে গ্রেফতারের নিমিত্তে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় আদিতমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। ২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া এলাকায় সেখানকার থানা পুলিশের সহযোগিতায় পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করে আদিতমারী থানায় নিয়ে আসেন। শনিবার(৩ ফেব্রুয়ারি)দুপুরে ধর্ষণ মামলার আসামীকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার বিষয়টি সংবাদকর্মীদের নিশ্চিত করেন আদিতমারী থানার ওসি মাহমুদ উন নবী। এসময় সাংবাদিকদের তিনি জানান, দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলার আসামি ইসরাউল হক রানাকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিকে কক্সবাজার থেকে আদিতমারী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি। ওসি আরো জানান, ওই স্কুল ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের চাপ দেয়ায় বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায় ধর্ষণকারী। পরে আত্নগোপনে চলে যায় রানা। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া এলাকায় কাজল নামের এক খামারীর বাড়িতে ছদ্দবেশে গরুর খামারে কাজ করত। এমন খবরের সুত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওসি তদন্ত রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানকার পুলিশের সহায়তায় রানাকে গ্রেফতার করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দশম শ্রেণির এক ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় প্রতিদিনই তাকে বিরক্ত করত রানা। বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিতো। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভনে আত্মীয়ের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে রানা। এতে ওই স্কুল ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের চাপ দেয়ায় বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায় ধর্ষণকারী। পরে আত্নগোপনে চলে যায় রানা। এভাবে কালক্ষেপণ করলে গত ২১ জানুয়ারি লালমনিরহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই স্কুল ছাত্রী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। পরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
What's Your Reaction?