আমতলীতে লাশবাহী এম্বুলেন্সের সঙ্গে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২
ঢাকা--কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী উপজেলার ডাক্তার বাড়ী নামক স্হানের নিকট লাশবাহী এম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেল সম্মুখ সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) সকাল ৬টার সময় এই দূর্ঘটনাটি সংগঠিত হয়। পুলিশ-দুর্ঘটনায় নিহত ২ জন ও এ্যাম্বুলেন্সে থাকা একটি মরদেহ সহ মোট ৩ টি মরদেহ উদ্ধার করে আমতলী থানায় নিয়ে আসে।
নিহত মোটরসাইকেল চালকের নাম রুবেল শিকদার (৩২) ও এম্বুলেন্সের নিহত যাত্রীর নাম পুষ্প বেগম (৬৫)। রুবেল শিকদারের বাড়ি আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা গ্রামে। অপরদিকে নিহত নারী পুষ্প বেগমের বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের গন্ডামারি গ্রামে। তিনি তার ছেলে আলম হাওলাদারের লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন।
স্হানীয় ও নিহতদের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল থেকে স্বজনরা একটি লাশ নিয়ে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের গন্ডামারি গ্রামে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আমতলীর ডাক্তারবাড়ি নামক স্হানে আসলে আমতলী থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সম্মুখ সংঘর্ষ সংগঠিত হয়। এতে মোটরসাইকেল চালক রুবেল শিকদার (৩২) ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এসময় এম্বুলেন্স চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে পুকুরে পড়ে যায়। স্হানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে এম্বুলেন্সে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে। সেখানে পুষ্প বেগম (৬৫) পুকুরে পড়ে যাওয়ায় এম্বুলেন্সের ভিতরে তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে আমতলী থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে তিনটি মরদেহ সহ আমতলী থানায় নিয়ে যায়।
নিহত পুস্প বেগমের ভাই রহিম তালুকদার বলেন, আমার ভাগ্নে আলম হাওলাদার লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মারা যায়। আমার ভাগ্নের লাশ আমার বোন পুস্প বেগম নিয়ে বাড়ী ফিরছিল।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, নিহত দুইটি মরদেহসহ তিনটি মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
What's Your Reaction?