আলফাডাঙ্গায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মাণ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিবাদীপক্ষ তা অমান্য করে নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছে বলে দাবি বাদীপক্ষের। সরেজমিনে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বানা ইউনিয়নের ১৪ নং রুদ্রবানা মৌজার বিরোধপূর্ণ জমিতে গিয়ে ঘর নির্মাণের সত্যতা মেলে।
জানা গেছে, উপজেলার রূদ্রবানা মৌজার বিএস ৮৪৯ খতিয়ানের ৫ শতাংশ জমি পৈতৃক সূত্রে দীর্ঘকাল ভোগদখল করে আসছে ওই এলাকার সারেজান শেখ। যার যাবতীয় কাগজপত্র ও নিয়মিত ভাবে সরকারি করখাজনা পরিশোধ করে আসছে তিনি। কিন্তু ওই সম্পত্তির একাংশ অন্য শরীকেরা হাদী ইনামুলের নিকট বিক্রি করে দেয়। পরে সারেজান শেখ বিজ্ঞ আদালতে প্রিয়েমশন (অগ্রক্রয়) মামলা করেন। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু হাদী ইনামুল জমিটির দখল নিতে চেষ্টা করলে সারেজান শেখ আদালতের নিষেধাজ্ঞা চায়। আদালত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ জমিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে বালু ভরাট করে গত কয়েকদিন ধরে দুই চালা একটি টিনের ঘর নির্মাণ করেন হাদী ইনামুল।
ভুক্তভোগী সারেজান শেখের স্ত্রী সাহিদা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন জমিটি আমরা ভোগদখল করে আসছি। জমিটিতে বর্তমানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষ সেখানে বালু ভরাট করে ঘর নির্মাণ করছেন। থানা পুলিশকে জানালেও এ বিষয়ে সঠিক কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হাদী ইনামুল বলেন, আমি আমার দলিলকৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করছি। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মাণের বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
জানতে চাইলে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর রশীদ জানান, ঘটনাস্থলে একাধিকবার পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শুনেছি বিবাদীরা রাতের আঁধারে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর উত্তোলন করেছে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
What's Your Reaction?