আশুলিয়ায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের
মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। আর মাত্র কয়েক দিন পরেই কোরবানির ঈদ।
আশুলিয়ায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারপাড়ার এলাকায়। তিন চার দিন বাদে ঈদুল আযহা। কি দিন কি রাত,কান পাতলেই শোনা যায় ঠুংঠাং শব্দ। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস বানাতে ছুরি,চাপাতি,দা,বঁটি, কুড়াল অত্যাবশ্যকীয়। কোরবানির আগে এসব উপকরণ হাতের কাছে না থাকলেই নয়। সেগুলো সংগ্রহ ও প্রস্তুত রাখতে এখন ব্যস্ত সবাই। এসব উপকরণ তৈরি ও শাণ দেওয়ার জন্য আশুলিয়া বাজার,জিরাবো,নরসিংহপুর,শিমুলতলা,বগাবাড়ী নবীনগর এলাকার কামারপাড়া বেশ আলোচিত।
ক্রেতা সামলাতে এসব কামারপাড়ার লোকজন ভীষণ ব্যস্ত। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই তাঁদের। কেউ হাপর টানছেন। কেউবা আগুনে কয়লা দিচ্ছেন। জ্বলন্ত আগুন থেকে লোহা তুলে সমানতালে পেটাচ্ছেন তাঁরা। সেই পেটানো তপ্ত লোহা থেকে তৈরি হচ্ছে দা, বঁটি, ছুরি, কুড়াল, চাপাতি। ক্রেতারা বলছেন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেশি। সারা বছর দা ছুরিতে শাণ দিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা নেওয়া হলেও কোরবানির সময় নেওয়া হয় ৫০ থেকে ৮০ টাকা। আর এসব তৈরীতেও গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
আশুলিয়ার নির্মল কর্মকার বলেন, সারা বছরই কাজ থাকে। কিন্তু কোরবানির সময় কাজ বেড়ে যায় দ্বিগুণ। আয়ও বাড়ে। গৃহস্থ বাড়ির সবাই দা, ছুরি, ছেনি, চাকু, বঁটিতে শাণ দিতে আসেন। তাই এই সময়ের জন্য প্রস্তুতিটাও থাকে একটু ভিন্ন। বছরের এই সময়ে দিনে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয় বলে জানান তিনি। তবে কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন আর আগের মতো লাভ হচ্ছে না। বস্তা প্রতি কাঠ কয়লার দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বেড়েছে কারিগরের মুজুরীসহ লোহার দাম। তাই লাভ অনেক কমে গেছে। তারপরও বাপ-দাদার পেশা টিকিয়ে রাখতে সবাই কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
What's Your Reaction?