ইবি অ্যালামনাই'র পদচারণায় মুখরিত ক্যাম্পাস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অ্যালমনাই এসোসিয়েশনের উদ্যেগে প্রথমবারের মতো ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে 'গেট টুগেদার ও সাধারণ সভা-২০২৫'। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের আহবায়ক মুহাম্মদ নাজমুল হক সাঈদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনজুরুল আলম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ আব্দুল হাই ও সঞ্চালনা করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান।
এসময় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। পরে ধারাবাহিক ভাবে অতিথিদের ফুলেল শুভেচছা, শুভেচ্ছা বক্তব্য, ক্রেস্ট প্রদান, এলামনাই সদস্যদের মধ্যে ক্রীয়া প্রতিযোগীতা, বিজয়ীদের মধ্যে পুরুষ্কার বিতরণ এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘আপনাদের আগমন এখানে বসন্ত উৎসবের মতো মহিরুহে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে এতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন এবং যে উদ্দেশ্য এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। উপাচার্যের চেয়ারটি একটি আমানত। আমি সেই আমানতকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে কাজ করবো। এ কাজে অ্যালামনাইদের সহযোগিতায় কামনা করছি। আপনাদের সহযোগিতায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তার পরিচিতি বৃদ্ধি ও সফলতা লাভ করবে।’
সমাপনী বক্তব্যে অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি মুহাম্মদ নাজমুল হক সাঈদী বলেন, ‘প্রথমেই জুলাই বিপ্লবের সকল যোদ্ধাদের স্মরণ করছি। যাদের অবদানেই বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। আজকে এই অ্যালামনাই অনুষ্ঠানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা লগ্ন থেকে সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রয়েছে। আমরা যারা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তারা যখন এখানে পড়াশোনা করেছি তখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকের মতো এত বিভাগ ছিলোনা এত সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাস ছিলোনা। আজকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একটা বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় পরিনত হয়েছে। একজন অ্যালামনাই হিসেবে আমরা আমাদের ক্যাম্পাস নিয়ে গর্ভবোধ করি।’
What's Your Reaction?






