ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় জুতা তৈরীর কারখানা গুলোতে কারিগরদের নিদ্রাহীন ব্যস্ততা
দামী দামী পাঞ্জাবি, শেরোয়ানি, দেশী বিদেশী সার্ট প্যান্ট,টি-সার্ট যতো কিছুই পরিধান করি না কেনো , সকলের চোখ যেনো পায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে।
পোষাকের সাথে মানানসই একজোড়া জুতা না পড়লে যেনো পোষাকের সৌন্দর্য বাড়ে না।
মাথা থেকে গোটা শরীর যতো দামী পোশাকেই মোড়াই না কেনো, তার সাথে ম্যাচ করা একজোড়া ভালো মানের জুতা বা সেন্ডল না হলে পুরো পোষাকটাই যেনো মলিন হয়ে যায়।
ঈদে পাঞ্জাবি, পায়জামা, সার্ট প্যান্ট, টি-সার্ট যা কিছুই কেনাকাটা করি, তার সাথে মিলিয়ে একজোড়া জুতা না হলেই যেনো নয়। আর এসব রুচিশীল জুতা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে মুন্সিগঞ্জের জুতা তৈরী কারখানার শ্রমিকরা।
মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে উঠেছে অগণিত জুতার কারখানা। এসব কারখানাগুলোতে জুতা হাতে তৈরি করা হয়ে থাকে। তেমনি কয়েকটি হাতে তৈরি জুতার কারখানা ঘুরে দেখা গেলো ৪০০ শো টাকা থেকে ১৫০০ শো টাকা পাইকারী দামের বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা তৈরি করা হচ্ছে।
কারখানার মালিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান- রাজধানী ঢাকার নামীদামী বিভিন্ন জুতার দোকান থেকে তাদেরকে নির্দিষ্ট ডিজাইনের জুতা তৈরির অর্ডার দেয়া হয়। তারা অর্ডারের বিপরীতে বিভিন্ন ধরনের, বাহারি ডিজাইনের জুতা সরবরাহ করে থাকেন। হাতে তৈরি এসব জুতাগুলো শতভাগ পশুর চামড়া দিয়ে তৈরি করে থাকেন। কারখানার মালিকগণ অর্ডারের বিপরীতে চাহিদা অনুযায়ী জুতা তৈরির কাঁচামাল কিনে এনে জুতা তৈরি করে থাকেন।
রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে এসব জুতা তৈরির কাঁচামাল তারা কিনে আনেন। চলতি বছর জুতার অনেক অর্ডার তারা পেয়েছেন। তবে মুন্সীগঞ্জে গড়েওঠা এসব জুতার কারখানায় শ্রমিক সংকট রয়েছে। শ্রমিক সংকটের জন্যে মালিকরা অর্ডারের বিপরীতে চাহিদা মতো জুতা তৈরি করে সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে মালিক পক্ষ জানালেন।
What's Your Reaction?