একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছে পরিবার

রাজশাহীর একমাত্র পুত্রসন্তান রেজওয়ানকে হারিয়ে গভীর শোক ও বেদনায় ভেঙে পড়েছে তার পরিবার। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, রেজওয়ানের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কাঁদতে কাঁদতে কথা বলছিলেন তার মা। থামছেই না কান্না। অসংখ্য স্বপ্ন ছিল এই রেজওয়ানকে ঘিরে—সেটাই আজ ভেঙে গেছে চিরতরে।
রেজওয়ানের মা বলেন, "আমার সন্তানের খুনিদের দ্রুত ফাঁসি চাই। ওরা আমার বুকের ধনকে মেরে ফেলেছে।"
স্থানীয় এলাকাবাসীরও একই দাবী—‘এই নির্মম হত্যার বিচার চাই, আসামিদের ফাঁসি চাই।’
রেজওয়ানের বাবা ছিলেন স্থানীয় একজন অটোরিকশাচালক। মঙ্গলবার সকালে তিনি রাজশাহী সদর হাসপাতালের মর্গে ছেলের লাশ আনতে গেছেন। চোখে পানি, হাতে লাশের কাগজ। দৃশ্যটি এতটাই হৃদয়বিদারক যে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে আসে।
জানা যায়, রমজান উপলক্ষে স্কুল ছুটি থাকায়, রেজওয়ান বাবার অটোরিকশা শখ করে চালাত। সেই সময় কিছু দুর্বৃত্ত তার উপর হিংস্রভাবে হামলা চালায়। তাকে পেপসির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে, অটোরিকশাটি বিক্রি করে দেয় দূরে কোথাও। এরপর রেজওয়ানকে নির্মমভাবে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। এমনকি তার শরীরে এসিডও ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে পচা গন্ধ ছড়াতে না পারে। মরদেহটি ফেলে রাখা হয় একটি পরিত্যক্ত ঘরে।
পুলিশ জানায়, টানা অনুসন্ধান ও তদন্তের পর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে রেজওয়ানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেছে স্থানীয়রা। সকলেরই একটাই দাবী—এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, রেজওয়ানের হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসি দেওয়া হোক।
What's Your Reaction?






