ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে খাগড়াছড়িতে বৈসু উৎসবের শোভাযাত্রা

বৈসু উৎসব উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হল থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রার আগে টাউন হল প্রাঙ্গণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়নের সেনা কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা এবং জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখার উদ্দিন খন্দকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বলেন, “বৈসু উৎসব পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির প্রতীক। এ উৎসব ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে। বৈসাবির আনন্দে সবাই একত্রিত হয়ে পারস্পরিক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে সম্মান জানাবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তা সংরক্ষণ করবে—এই আমাদের প্রত্যাশা।”
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী গড়ইয়া ও বোতল নৃত্যসহ মনোজ্ঞ গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী পোশাকে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ এতে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী বৈসু উৎসব। চৈত্র মাসের শেষ দুই দিন ও বৈশাখের প্রথম দিন—এই তিন দিন ধরে পালিত হয় উৎসবটি। প্রথম দিনকে বলা হয় ‘হারি বৈসু’, দ্বিতীয় দিন ‘বৈসুমা’ এবং শেষ দিনটি পরিচিত ‘বিসিকতাল’ নামে। এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হলো আগামী বছরের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা।
What's Your Reaction?






