কুমারখালীতে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ
তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির আশায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইসতিসকার নামাজ পড়েছেন মানুষ।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের খড়িলার বিলে খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন তারা। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়। মঙ্গল ও বুধবারও একই জায়গায় সকালে ইসতিসকার নামাজ পড়ার কথা জানিয়েছেন আয়োজকরা।
স্থানীয়রা জানান, সকালে নানা বয়সী মানুষ নামাজের জন্য মাঠে হাজির হন। নামাজের ইমাম প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নামাজের নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন সবাই। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাবপ্রবাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন তারা।
উপস্থিত স্থানীয় কৃষক মিরাজুল রহমান বিশ্বাস বলেন, “বৃষ্টিবাদল নেই। খুব তাপ। কলে পানি উঠছে না। মাঠের ফসল নষ্ট হচ্ছে। তাই বৃষ্টি চেয়ে নামাজের মাধ্যমে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য সবাই দোয়া করেছেন।”
দহখোলা দক্ষিণ ভবানীপুর কওমি হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা রাসেল মোল্লা বলেন, “দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি গাছপালাসহ সবাই কষ্টে আছে। সেজন্য বৃষ্টির আশায় নামাজ পড়েছি আমরা। আগামীকাল মঙ্গলবার ও পরদিন বুধবারও একই স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ হবে।”
নামাজে ইমামতি করেন রসুলপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দিন আল ফরিদী।
তিনি বলেন, “কোরআন-হাদিসের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন।”
সেজন্যই তারা সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।
What's Your Reaction?